ETV Bharat / state

গঙ্গাসাগরের যাত্রাপথে ডুবন্ত বাংলাদেশি জাহাজের কারণে চর, উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা - মুখ্যমন্ত্রী

CM Mamata Banerjee worried about Sinking Bangladeshi Ship: গঙ্গাসাগরের যাত্রাপথে বাংলাদেশি ডুবন্ত জাহাজের কারণে চর নিয়ে উদ্বিগ্ন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় । মুখ্যমন্ত্রী বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কাছে এই বিষয়ে সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। সেক্ষেত্রে তারাও জানিয়েছে, বিষয়টি খুব জটিল। তারা এও জানিয়েছে, প্রয়োজনে বিষয়টি নিয়ে ড্রেসিং কর্পোরেশনের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 27, 2023, 3:30 PM IST

কলকাতা, 27 ডিসেম্বর: বাংলাদেশি জাহাজডুবির জেরে গঙ্গাসাগরে চর। যার জেরে উদ্বিগ্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডুবন্ত জাহাজ আনা যায় কি না, তা পর্যালোচনা করার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। প্রসঙ্গত, বুধবার নবান্ন সভাঘরে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি পর্যালোচনা করতে বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই কচুবেড়িয়ার দিকে হঠাৎ গজিয়ে ওঠা চর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী তথা গঙ্গাসাগরের বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা। সেখানেই এই ডুবন্ত জাহাজ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। দুর্ঘটনায় এড়াতে প্রয়োজনে সেনার সাহায্য নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রী নিজে ভারতীয় নৌ-বাহিনীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন বলে জানা গিয়েছে । কীভাবে এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা যায়, তাও জানতে চেয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, নৌ-বাহিনীর কাছে এই ধরনের কোনও সরঞ্জাম নেই যার সাহায্যে ডুবন্ত কোনও ভেসেল তুলে আনা যায়। এর জন্য ড্রেসিং কর্পোরেশনের আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা। এই ধরনের জাহাজ তুলে আনার কাজ করেন নির্দিষ্ট কিছু সংস্থাও, তার সাহায্যও নেওয়া যেতে পারে বলে জানা গিয়েছে। কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে নৌ-বাহিনীও বিদেশি সংস্থা বা দেশীয় সংস্থার থেকে সাহায্য নেয় বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। নৌ-বাহিনীর তরফ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, তাদের কাছে এই সংক্রান্ত কোনও অনুরোধ এখনও পর্যন্ত আসেনি রাজ্য সরকারের তরফে।

মুখ্যমন্ত্রী এরপর বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কাছে এই বিষয়ে সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। সেক্ষেত্রে তারাও জানিয়েছে, বিষয়টি খুব জটিল। তারাও জানিয়েছে, প্রয়োজনে ড্রেসিং কর্পোরেশনের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। এর জন্য সময় লাগবে। গঙ্গাসাগর মেলা সামনে, এই অবস্থায় কী করণীয় ? মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "সামনেই গঙ্গাসাগর মেলা রয়েছে এখনই ডুবন্ত জাহাজ তুলে আনা সম্ভব না। মেলা সম্পূর্ণ হলে কীভাবে এই কাজ করা যায় তা ভেবে দেখতে হবে। মনে রাখতে হবে এটি একটি আন্তর্জাতিক জলপথ। সুন্দরবনের জনজীবন যাতে কোনওভাবে প্রভাবিত না হয় সেটাও মাথায় রাখতে হবে।"

এক্ষেত্রে জাহাজ কোম্পানিরও নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে বলে জানান মমতা। এক্ষেত্রে তাদেরও চিঠি লেখা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব। তবে এবার গঙ্গাসাগর মেলার কথা ভেবে সেচ দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, জলপথ পরিবহনের পথে যে চর তৈরি হয়েছে তার দ্রুত অপসারণের চেষ্টা করা হবে। আশা করা যাচ্ছে মেলার আগে এই সমস্যার সমাধান করা যাবে। অন্যদিকে, নৌ-বাহিনীর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বেগের পিছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে। জলপথের মাঝে হঠাৎ করে এই ধরনের জাহাজ থাকা কোনওভাবেই ভালো কথা নয়। বরং সবদিক খতিয়ে দেখে তা তোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে তার জন্য নির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা দরকার। যাতে রাতের বেলাতেও কোনও দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।

মুখ্যমন্ত্রী ভারতীয় নৌ-সেনার পরামর্শ মতই এই বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে দুর্ঘটনা এড়ানো যায় সেজন্য পরিবহন দফতর ও সেচ দফতর যৌথভাবে মার্কিং ঠিকমতো করার নির্দেশও দিয়েছেন।

আরও পড়ুন:

কলকাতা, 27 ডিসেম্বর: বাংলাদেশি জাহাজডুবির জেরে গঙ্গাসাগরে চর। যার জেরে উদ্বিগ্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডুবন্ত জাহাজ আনা যায় কি না, তা পর্যালোচনা করার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। প্রসঙ্গত, বুধবার নবান্ন সভাঘরে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি পর্যালোচনা করতে বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই কচুবেড়িয়ার দিকে হঠাৎ গজিয়ে ওঠা চর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী তথা গঙ্গাসাগরের বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা। সেখানেই এই ডুবন্ত জাহাজ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। দুর্ঘটনায় এড়াতে প্রয়োজনে সেনার সাহায্য নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রী নিজে ভারতীয় নৌ-বাহিনীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন বলে জানা গিয়েছে । কীভাবে এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা যায়, তাও জানতে চেয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, নৌ-বাহিনীর কাছে এই ধরনের কোনও সরঞ্জাম নেই যার সাহায্যে ডুবন্ত কোনও ভেসেল তুলে আনা যায়। এর জন্য ড্রেসিং কর্পোরেশনের আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা। এই ধরনের জাহাজ তুলে আনার কাজ করেন নির্দিষ্ট কিছু সংস্থাও, তার সাহায্যও নেওয়া যেতে পারে বলে জানা গিয়েছে। কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে নৌ-বাহিনীও বিদেশি সংস্থা বা দেশীয় সংস্থার থেকে সাহায্য নেয় বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। নৌ-বাহিনীর তরফ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, তাদের কাছে এই সংক্রান্ত কোনও অনুরোধ এখনও পর্যন্ত আসেনি রাজ্য সরকারের তরফে।

মুখ্যমন্ত্রী এরপর বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কাছে এই বিষয়ে সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। সেক্ষেত্রে তারাও জানিয়েছে, বিষয়টি খুব জটিল। তারাও জানিয়েছে, প্রয়োজনে ড্রেসিং কর্পোরেশনের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। এর জন্য সময় লাগবে। গঙ্গাসাগর মেলা সামনে, এই অবস্থায় কী করণীয় ? মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "সামনেই গঙ্গাসাগর মেলা রয়েছে এখনই ডুবন্ত জাহাজ তুলে আনা সম্ভব না। মেলা সম্পূর্ণ হলে কীভাবে এই কাজ করা যায় তা ভেবে দেখতে হবে। মনে রাখতে হবে এটি একটি আন্তর্জাতিক জলপথ। সুন্দরবনের জনজীবন যাতে কোনওভাবে প্রভাবিত না হয় সেটাও মাথায় রাখতে হবে।"

এক্ষেত্রে জাহাজ কোম্পানিরও নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে বলে জানান মমতা। এক্ষেত্রে তাদেরও চিঠি লেখা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব। তবে এবার গঙ্গাসাগর মেলার কথা ভেবে সেচ দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, জলপথ পরিবহনের পথে যে চর তৈরি হয়েছে তার দ্রুত অপসারণের চেষ্টা করা হবে। আশা করা যাচ্ছে মেলার আগে এই সমস্যার সমাধান করা যাবে। অন্যদিকে, নৌ-বাহিনীর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বেগের পিছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে। জলপথের মাঝে হঠাৎ করে এই ধরনের জাহাজ থাকা কোনওভাবেই ভালো কথা নয়। বরং সবদিক খতিয়ে দেখে তা তোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে তার জন্য নির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা দরকার। যাতে রাতের বেলাতেও কোনও দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।

মুখ্যমন্ত্রী ভারতীয় নৌ-সেনার পরামর্শ মতই এই বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে দুর্ঘটনা এড়ানো যায় সেজন্য পরিবহন দফতর ও সেচ দফতর যৌথভাবে মার্কিং ঠিকমতো করার নির্দেশও দিয়েছেন।

আরও পড়ুন:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.