কলকাতা, 9 মার্চ : কোথায় গেল রেলের ম্যাপ ? স্ট্র্য়ান্ডরোডে রেলের বহুতলে আগুন লাগার ঘটনায় প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ রাজ্য সরকারের দাবি, সঠিক সময় যদি সংশ্লিষ্ট বহুতলের ম্যাপ হাতে পেতেন দমকলকর্মীরা , তাহলে মৃত্যুর ঘটনা এড়ানো যেত ৷ ঘটনায় কার্যত রেলমন্ত্রকেই দুষলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ যদিও উল্লেখ করতে ভোলেননি যে, মৃত্যু নিয়ে তিনি কোনওরকম রাজনীতি করতে চান না ৷
আরও পড়ুন : স্ট্র্যান্ড রোডের অগ্নিকাণ্ডে মৃত 9, চাকরি ও আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
স্ট্র্যান্ডরোডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 9 ৷ জানা গেছে, মৃতদের মধ্যে দু'জন রেলকর্মী, চারজন দমকলকর্মী, একজন হেয়ার স্ট্রিট থানার এএসআই । বাকি দু'জনের নাম, পরিচয় এখনও জানা যায়নি ৷ খবর পেয়ে গতকাল সাড়ে 11টা নাগাদ ঘটনাস্থানে যান মুখ্যমন্ত্রী ৷ কথা বলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, কলকাতা পুলিশের নগরপাল সৌমেন মিত্র ও দমকলের আধিকারিকদের সঙ্গে ৷
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, রেল মন্ত্রকের কোনও আধিকারিক খবর পাওয়ার পরও ঘটনাস্থানে আসেননি ৷ বলেন, "জায়গাটা রেলের ৷ তাই রেলের আধিকারিকদের উপর দায়িত্ব বর্তায় ৷" তাঁর আরও অভিযোগ, "দমকল দফতর থেকে বহুতলের ম্যাপ চাওয়া হয়েছিল ৷ কিন্তু রেলের তরফে কোনও সহযোগিতা করা হয়নি ৷" মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, বিল্ডিংয়ের প্ল্যানটা কাছে থাকলে দমকলকর্মীদের সুবিধা হত ৷ তবে দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করতে চান না বলেও শেষে উল্লেখ করেন তিনি ৷ পাশাপাশি বলেন," আগুন লাগলে বিদ্যুৎ পরিচালিত লিফট ব্যবহার করা উচিত নয় ৷"
সোমবার সন্ধ্যায় রেলের ওই বহুতলে আগুন লাগে ৷ প্রথমে আগুন লাগে 13 তলায় ৷ পরে তা ছড়িয়ে পড়ে 12 তলায় ৷ দমকলের 17টি ইঞ্জিনের সাহায্যে পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয় ৷ তবে এলাকা ঘিঞ্জি হওয়ায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের ৷ মৃতদের পরিবার পিছু 10 লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী । জানিয়েছেন, ক্ষতিপূরণ ছাড়া মৃতদের পরিবার পিছু এক জনকে সরকারি চাকরিও দেওয়া হবে ।