কলকাতা, 7 জুন: মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো কি সরকার? সে ত্রাণ বন্টন করতে পারলে, রাজ্যের বিরোধী দলগুলির ত্রাণ গরিব মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে কি অসুবিধা? প্রশ্ন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর। রাজ্যে বিরোধী দল যে সমস্ত জায়গায় ত্রাণ দিতে গেছে, সবকটি জায়গায় উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে শাসকদল সমস্যার সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্যের অন্যতম বিরোধী দল বামফ্রন্টের নেতা সুজন চক্রবর্তী। কোরোনা ভাইরাসের জন্য পশ্চিমবঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে লকডাউন চলছে। তার উপর প্রবল ঘূর্ণিঝড় আমফানের পর বিপর্যস্ত এলাকাগুলিতে লাগাতার ত্রাণের কাজ করতে চেয়েছে বিরোধীরা। বেশিরভাগ জায়গায় শাসক দলের পক্ষ থেকে সমস্যা তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
আজকেও ত্রাণের কাজে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সুজন চক্রবর্তী। মুখ্যমন্ত্রী কয়েকদিন আগে নবান্নে জানিয়েছিলেন, ত্রাণ দেবে শাসকদলের লোকেরা । তাঁর এই মন্তব্যের পর বিরোধীদের ত্রান দেওয়ার কাজে সমস্যা তৈরি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সুজন চক্রবর্তী।
আজ তিনি বলেন, “ত্রাণ নিয়ে দুর্ভাগ্যজনক মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়াবে এটাই স্বাভাবিক। রাজ্যের এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে গত আড়াই মাস শাসক দলের লোকেরা কেউ ত্রাণ বন্টন করেনি।”
তিনি বলেন, " মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো তো সরকারের কেউ নন। তিনি ত্রাণ দেবে বলে বিভিন্ন জায়গায় লাগাতার প্রচার চলছে। অথচ বিরোধী দলকে ত্রাণ দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই গা ফলানো মনোভাব রাজ্যের মানুষকে আরো বেশি বিপদে ফেলবে। চোখ রাঙানো মনোভাব, এটাই স্বৈরাচারী মনোভাব মুখ্যমন্ত্রীর। গত কয়েক মাস ধরে করোনার সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের মানুষকে নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে। তখন তাঁদের পাশে গিয়ে দাঁড়ালো কি সরকার? সরকার রেশন দিল না। রেশনের চাল লুঠ হলো। দুর্নীতি হলো। খাদ্য সচিব কে সরানো হলো। রেশন ডিলার দের দোষ দিয়ে কোনো লাভ নেই। দলের ছুটকো নেতারা সব কন্ট্রোল করেছে। অধিকাংশ মানুষের কপালে জোটেনি রেশন। বামপন্থী ছাত্র যুবরা, প্রতিবেশীরা, বিরোধী দলের লোকেরা ওষুধ খাদ্য নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বামেদের উদ্যোগে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কমিউনিটি কিচেন হয়েছে। সরকার ব্যর্থ প্রমাণিত। তাইতো মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোকে ত্রাণ বন্টন করতে হয়। সেই ত্রাণ দিতে পারলে, বাকিরা ত্রাণ দিতে পারবে না কেন? সামাজিক মানসিক কর্তব্য রাজ্য সরকারের নেই। তাঁরা কাউকে করতেও দেবে না। গত আড়াই মাস কোথায় ছিলেন তাঁরা? কমিউনিটি কিচেন করেছে বামপন্থীরাই। অথচ মুখ্যমন্ত্রীর চোখ রাঙিয়ে বলছেন কাউকে ত্রাণ দিতে দেবেন না।"
মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের চূড়ান্ত সমালোচনা করেছেন শরিক দলের নেতারাও। মুখ্যমন্ত্রী বাধা দিলেও ত্রাণের কাজ অব্যাহত থাকবে বলেই জানান সুজন চক্রবর্তী।
ত্রাণের কাজে বিরোধীদের অসহযোগিতা করছেন মুখ্যমন্ত্রী
ত্রাণ দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন বামপরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী।
কলকাতা, 7 জুন: মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো কি সরকার? সে ত্রাণ বন্টন করতে পারলে, রাজ্যের বিরোধী দলগুলির ত্রাণ গরিব মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে কি অসুবিধা? প্রশ্ন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর। রাজ্যে বিরোধী দল যে সমস্ত জায়গায় ত্রাণ দিতে গেছে, সবকটি জায়গায় উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে শাসকদল সমস্যার সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্যের অন্যতম বিরোধী দল বামফ্রন্টের নেতা সুজন চক্রবর্তী। কোরোনা ভাইরাসের জন্য পশ্চিমবঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে লকডাউন চলছে। তার উপর প্রবল ঘূর্ণিঝড় আমফানের পর বিপর্যস্ত এলাকাগুলিতে লাগাতার ত্রাণের কাজ করতে চেয়েছে বিরোধীরা। বেশিরভাগ জায়গায় শাসক দলের পক্ষ থেকে সমস্যা তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
আজকেও ত্রাণের কাজে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সুজন চক্রবর্তী। মুখ্যমন্ত্রী কয়েকদিন আগে নবান্নে জানিয়েছিলেন, ত্রাণ দেবে শাসকদলের লোকেরা । তাঁর এই মন্তব্যের পর বিরোধীদের ত্রান দেওয়ার কাজে সমস্যা তৈরি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সুজন চক্রবর্তী।
আজ তিনি বলেন, “ত্রাণ নিয়ে দুর্ভাগ্যজনক মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়াবে এটাই স্বাভাবিক। রাজ্যের এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে গত আড়াই মাস শাসক দলের লোকেরা কেউ ত্রাণ বন্টন করেনি।”
তিনি বলেন, " মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো তো সরকারের কেউ নন। তিনি ত্রাণ দেবে বলে বিভিন্ন জায়গায় লাগাতার প্রচার চলছে। অথচ বিরোধী দলকে ত্রাণ দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই গা ফলানো মনোভাব রাজ্যের মানুষকে আরো বেশি বিপদে ফেলবে। চোখ রাঙানো মনোভাব, এটাই স্বৈরাচারী মনোভাব মুখ্যমন্ত্রীর। গত কয়েক মাস ধরে করোনার সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের মানুষকে নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে। তখন তাঁদের পাশে গিয়ে দাঁড়ালো কি সরকার? সরকার রেশন দিল না। রেশনের চাল লুঠ হলো। দুর্নীতি হলো। খাদ্য সচিব কে সরানো হলো। রেশন ডিলার দের দোষ দিয়ে কোনো লাভ নেই। দলের ছুটকো নেতারা সব কন্ট্রোল করেছে। অধিকাংশ মানুষের কপালে জোটেনি রেশন। বামপন্থী ছাত্র যুবরা, প্রতিবেশীরা, বিরোধী দলের লোকেরা ওষুধ খাদ্য নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বামেদের উদ্যোগে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কমিউনিটি কিচেন হয়েছে। সরকার ব্যর্থ প্রমাণিত। তাইতো মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোকে ত্রাণ বন্টন করতে হয়। সেই ত্রাণ দিতে পারলে, বাকিরা ত্রাণ দিতে পারবে না কেন? সামাজিক মানসিক কর্তব্য রাজ্য সরকারের নেই। তাঁরা কাউকে করতেও দেবে না। গত আড়াই মাস কোথায় ছিলেন তাঁরা? কমিউনিটি কিচেন করেছে বামপন্থীরাই। অথচ মুখ্যমন্ত্রীর চোখ রাঙিয়ে বলছেন কাউকে ত্রাণ দিতে দেবেন না।"
মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের চূড়ান্ত সমালোচনা করেছেন শরিক দলের নেতারাও। মুখ্যমন্ত্রী বাধা দিলেও ত্রাণের কাজ অব্যাহত থাকবে বলেই জানান সুজন চক্রবর্তী।