কলকাতা, 15 এপ্রিল : 24 ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছে 17 জন ৷ মোট কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 132 ৷ এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে 32 জন ৷ মৃত্যু হয়েছে সাতজনের ৷ আজ নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে বসে এই দাবি করলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা ৷
কোরোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের দেওয়া তথ্যে বিস্তর ফারাক দেখা যাচ্ছে কয়েকদিন ধরে ৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে কোরোনায় আক্রান্ত 213 জন ৷ কিন্তু, রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের হিসেবে সংখ্যাটা 132 ৷ সংখ্যায় এতটা ফারাক হওয়ায় রাজ্যের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগও তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা ৷ তবে, নিজেদের দেওয়া তথ্যে অনড় মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিব ৷
আজকের সাংবাদিক বৈঠকে ভিনরাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "চেন্নাই, ভেলোরে আটকে পড়েছেন, খবর পেলেই তাঁকে সাহায্য করবে রাজ্য ৷" রাজ্যের বাসিন্দাদের উদ্দেশে বলেন, "স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কোনও খারাপ ব্যবহার করা যাবে না ৷ যে নার্সকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হল না, তিনি সরকারি কোয়ার্টারে থাকবেন ৷ কারও চাকরি কেড়ে নিয়ে তাঁকে যেন অসহায় না করা হয় ৷ এই সময় রাজনীতি করবেন না ৷"
অনেকেই রাজ্যে আধা সামরিক বাহিনী নামানোর কথা বলেছেন ৷ সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "কেউ কেউ ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছেন ৷ কেউ কেউ আধাসামরিক বাহিনী নামানোর কথা বলছেন ৷ আধাসামরিক বাহিনী কী করবে ?" কোরোনা চিকিৎসা ও চিকিৎসকদের বিষয়ে তিনি বলেন, "চিকিৎসক ও নার্সদের কাজে কোনও গাফিলতি নেই ৷ রোটেশন পদ্ধতিতে কাজ করবেন চিকিৎসক-নার্সরা ৷ সাত দিন কাজ করলে সাত দিন ছুটি পাবেন ৷ কোরোনা হাসপাতাল যে কোনও জায়গায় করা যেতে পারে ৷ কোরোনা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ালে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হবে ৷ সকলের জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক ৷"