কলকাতা, 25 নভেম্বর: মোবাইল গেমিং অ্য়াপ প্রতারণা মামলায় (Gaming App Fraud Case) মূল অভিযুক্ত আমির খানকে (Aamir Khan) এবার হেফাজতে নিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (Enforcement Directorate) বা ইডি (ED) ৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় টাকার উৎস কী কী ছিল এবং কোথায়, কোন খাতে সেই টাকা খরচ করা হয়েছিল, মূলত এই প্রশ্নগুলির জবাব পেতেই আমিরকে হেফাজতে (ED Custody) নিয়েছেন গোয়েন্দারা ৷
প্রসঙ্গত, 2021 সালে কলকাতার পার্ক স্ট্রিট থানায় একটি অনলাইন গেমিং অ্যাপের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷ কিন্তু, সেই সময় বিষয়টি নিয়ে কলকাতা পুলিশ যথাযথ পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ ৷ পরবর্তীতে, চলতি বছর গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল লেনের একটি বাড়ির শোওয়ার ঘরের খাটের নীচ থেকে উদ্ধার করা হয় 17 কোটি টাকারও বেশি নগদ ! সেই টাকা উদ্ধার করে ইডি ৷ এই বাড়িটি আদতে আমির খানের বাবার ৷ এরপরই আসরে নামে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) ৷ পরবর্তীতে ভিনরাজ্য থেকে আমিরকে গ্রেফতার করে তারা ৷ ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসা হয় বাংলায় ৷ এরপর থেকে দফায় দফায় বহুমূল্য়ের বিট কয়েন-সহ আরও অনেক কিছুই উদ্ধার হয় ৷
আরও পড়ুন: আমির ঘনিষ্ঠের বাড়িতে তল্লাশি, ইডির হাতে আটক উল্টোডাঙার ব্যবসায়ী
শুক্রবার এই মামলার শুনানি হয় কলকাতার নগর দায়রা আদালতে (City Sessions Court) ৷ এজলাসে ইডি-এর আইনজীবী ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আমির খানকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানান ৷ আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে ৷ আগামী 8 (আট) ডিসেম্বর পর্যন্ত আমির খানকে ইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট বিচারক ৷
ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ মনে করছে, আমির যে প্রতারণার জাল বিছিয়েছিলেন বলে অভিযোগ, তাতে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মদত থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয় ৷ তবে, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় অন্তত কোনও প্রভাবশালীর নাম সরাসরি শোনা যায়নি ৷ মনে করা হচ্ছে, টাকার উৎস এবং তা খরচের খতিয়ান হাতে পেলেই এই সম্পর্কে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলবে ৷ আর সেই কারণেই আমিরকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা জরুরি বলে মনে করছেন ইডি আধিকারিকরা ৷ এখন দেখার, রাজ্যের অন্য়ান্য দুর্নীতি মামলার মতো এখানেও 'কেঁচো খুঁড়তে কেউটে' বের হয় কিনা !