কলকাতা, 1 ডিসেম্বর: স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয়েই চাকরি নবম-দশম শ্রেণিতে শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছে কয়েকজন শিক্ষক । সিআইডি তদন্তে উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য, সেই রিপোর্টও পেশ হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।
মুর্শিদাবাদের গোথা হাইস্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে এমনই বেআইনি নিয়োগের সন্ধান পেয়েছে সিআইডি । পাশাপাশি, বাঁকুড়া এবং পূর্ব মেদিনীপুরের দুটি স্কুলে একটি করে পদে এরকম বেআইনি নিয়োগের সন্ধান পেয়েছে রাজ্যে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা । এদের মধ্যে শুভেন্দু হাটুয়া নামে একজন পূর্ব মেদিনীপুরের করণচাঁদ হাইস্কুলে এবং জেসমিন খাতুন নামে একজন বাঁকুড়ার ভাটরা শ্রী দুর্গা বিদ্যায়তন হাইস্কুলে কর্মরত বলে জানা গিয়েছে । 24 ঘণ্টার মধ্যে জেলা স্কুল পরিদর্শককে এই বিষয়ে এইআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ৷
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, জেসমিন খাতুন, বাঁকুড়া ও মালদহ এসএসসি রিজিওনাল চেয়ারম্যানের স্ত্রী । অভিযোগ, বেআইনিভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছে চেয়ারম্যানের স্ত্রীকে। আর শুভেন্দু হাটুয়া পার্শ্বশিক্ষক থেকে বেআইনিভাবে পূর্ণ সময়ের শিক্ষকতার চাকরি করছেন ।
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদের গোথা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের ছেলে অনিমেষ তিওয়ারি স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় পাশ না করেই চাকরি করছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে । পরে এই বিষয়ে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু তদন্তের নির্দেশ দেন । তদন্তে দেখা যায় অনিমেষের বাবা স্কুলের প্রধান শিক্ষক হওয়ার জন্য ছেলেকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন স্কুলে । পরে অনিমেষের বাবাকে পুলিশ গ্রেফতার করে । বিচারপতি বসু মামলার শুনানিতে লক্ষ্য করেন অনিমেশ তিওয়ারির নিয়োগের ব্যাপারে ডিয়াইয়ের কাছে কোনও নিয়োগের ফাইল নেই। এরপরই রাজ্যের আইনজীবীকে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু নির্দেশ দিয়েছিলেন 2016 সালের পর যারাই নিয়োগ পেয়েছে প্রত্যেক জেলার ডিয়াইদের খোঁজ নিতে বলুন তাদের কাছে যথাযথ প্রমাণ আছে কী না।
ডিআইজি সিআইডিকে বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছিলেন এফআইআর দায়ের করে এই বিষয়ে তদন্ত করতে । মুর্শিদাবাদ জেলার ডিআইকেও এফআইয়ার করতে বলা হয়। পাশাপাশি, রাজ্যকে খতিয়ে দেখতে বলা হয় প্রত্যেক জেলার ডিআইরা রিপোর্ট দিয়ে জানাবে তাদের জেলায় কোনও বেআইনি নিয়োগ হয়নি । সেই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন সিআইডি রিপোর্ট পেশ করে হাইকোর্টে এই বেআইনি নিয়োগের বিষয়ে জানায় ৷
আরও পড়ুন: