কলকাতা, 15 সেপ্টেম্বর : বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফায় শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোর ঘটনায় তদন্তে নেমে ধন্দে সিআইডি ৷ ঘটনার তদন্তে কোচবিহারের প্রাক্তন পুলিশ সুপার দেবাশিস ধরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর পাননি তদন্তকারীরা ৷ সেই প্রশ্নগুলি নিয়েই এবার ধন্দে সিআইডি ৷ যেখানে অন্যতম প্রশ্ন, কীভাবে একজন আইপিএস আধিকারিক একটি জেলার দু’টি পৃথক গুলি চালানোর ঘটনায় একটি এফআইআর দায়ের করেন ? সব থেকে বড় প্রশ্ন, কেন একজন পুলিশ সুপার গুলি চলার প্রায় তিনদিন পর ঘটনাস্থলে গেলেন ? তাও আবার সন্ধ্যা বেলায় ৷
সিআইডি সূত্রে খবর, আরও একাধিক প্রশ্নের উত্তরের খোঁজে রয়েছেন তদন্তকারীরা ৷ যার মধ্যে অন্যতম, এত বড় একটি ঘটনা ঘটার পরেও পুলিশ সুপার রাজ্য পুলিশের ডিজিকে একবারও এ নিয়ে জানালেন না কেন ? কীভাবে এত বড় গাফিলতি করলেন তিনি ? তবে, কি তৎকালীন পুলিশ সুপার কোনওভাবে চাপে ছিলেন ? প্রসঙ্গত, তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনও সূত্র পাচ্ছেন না গোয়েন্দারা ৷ ঠিক কোন সূত্র ধরে তদন্তে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, সেটাই বোধগম্য নয় সিআইডি আধিকারিকদের কাছে ৷
আরও পড়ুন : Sonu Sood : সোনু সুদের বাড়ি ও অফিসে আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা
পাশাপাশি শীতলকুচি গুলিকাণ্ডে কোচবিহার জেলার প্রাক্তন পুলিশ সুপারকে দেবাশিস ধরকে দু’বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দারা ৷ কিন্তু, তেমনভাবে কোনও উল্লেখযোগ্য উত্তর তাঁর কাছ থেকে পাননি সিআইডির গোয়েন্দারা ৷ দু’বার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় কোচবিহারের প্রাক্তন পুলিশ সুপারের বক্তব্যে বিস্তর অসঙ্গতি রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছিল ৷ সূত্রের খবর, সেই বয়ানে একই প্রশ্নের বিভিন্ন রকমের উত্তর দিয়েছেন তিনি ৷ গোয়েন্দাদের অনুমান প্রাক্তন পুলিশ সুপার মূলত কোনও প্রভাবশালীকে আড়াল করতেই একাধিকবার বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে গোয়েন্দাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন ৷ কিন্তু, তিনি কাকে বা কাদের আড়াল করার চেষ্টা করছেন ? সেই প্রশ্নই এখন জানার চেষ্টা করছে তদন্তকারী সংস্থা ৷
আরও পড়ুন : Priyanka Tibrewal : প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ, জবাব তলব কমিশনের
ভবানী ভবন সূত্রে খবর, চলতি মাসে ফের একবার তদন্তের জন্য কোচবিহার জেলার প্রাক্তন পুলিশ সুপার দেবাশিস ধরকে তলব করা হতে পারে ৷ সেক্ষেত্রে তাঁকে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে ৷ কারণ, তিনি একাধিকবার বয়ানে বদল করেছেন ৷ সেক্ষেত্রে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার পথেও হাঁটতে পারেন গোয়েন্দারা ৷