কলকাতা, 11 জানুয়ারি: রাজভবনে রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা ও স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তীর সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ একই গাড়িতে দুই আধিকারিক বৃহস্পতিবার বিকেল 5টা 25 মিনিট নাগাদ রাজভবনে যান ৷ সন্ধ্যা 6টা 40 মিনিটের পর তাঁরা বেরিয়ে যান ৷
রাজভবন সূত্রের দাবি, মূলত সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে ৷ শেখ শাহজাহানের বিষয়ে রাজভবন থেকে যে 4-5টি বিষয়ে রাজ্যের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, সেই সবকিছু নিয়ে আলোচনা হয়েছে ৷ এক সপ্তাহ কেটে গেলেও কেন এখনও পর্যন্ত শেখ শাহজাহানের হদিশ পাওয়া গেল না ? ইডি আধিকারিকদের উপর শাহজাহান অনুগামীদের হামলার কী পদক্ষেপ করা হল ? ঘটনার দিন স্থানীয় পুলিশের ভূমিকা কী ছিল, এই বিষয়গুলি আলোচনা হয়েছে ৷
রাজভবন সূত্রের দাবি, আজকের আলোচনায় রেশন কেলেঙ্কারিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে কেন এখনও গ্রেফতার করা হয়নি? শেখ শাহজাহান ভারতে আছেন নাকি সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে চলে গিয়েছেন? আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে ব্যর্থতার দায়ভার কার? এইসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে ৷
5 জানুয়ারি উত্তর 24 পরগনার সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাতে গিয়েছিল ইডি ৷ সেখানে গিয়ে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়েন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা ৷ এমনকী তাঁদের উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ ৷ এক আধিকারিকের মাথা ফেটে যায় ৷ অন্য আধিকারিকরাও আহত হন ৷
এ নিয়ে রাজ্য-রাজনীতিতে কার্যত ঝড় বয়ে যায় ৷ এই ঘটনার পর থেকে এখনও পর্যন্ত দাপুটে তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত শেখ শাহজাহান বেপাত্তা ৷ তাঁর গতিবিধি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য রাজ্য প্রশাসনের কাছে আগেই জানতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ এরপরে সিআইএসএফ, বিএসএফ, এনআইএ-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় সংস্থার পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন ইডির ডিরেক্টর রাহুল নবীন ৷ তিনি পরে রাজভবনে যান ৷ সেখানে রাজ্যপালের তাঁর সংক্ষিপ্ত বৈঠক হয় বলেও জানা গিয়েছে। এই ধারাবাহিক বৈঠক পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত বলেই দাবি করছে রাজভবন সূত্র।
আরও পড়ুন: