কলকাতা, 24 ডিসেম্বর: কলকাতায় এসেও সমাবর্তন অনুষ্ঠানে দেখা মিলল না ইউজিসির চেয়ারম্যান এম জগদীশ কুমারের। ফাঁকা থাকল তাঁর চেয়ার। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের 66তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশেষ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ইউজিসির চেয়ারম্যানকে। আমন্ত্রণ অনুযায়ী, গতকাল রাতেই কলকাতায় পা রাখেন ইউজিসির চেয়ারম্যান এম জগদীশ কুমার। তাঁকে বিমানবন্দর থেকেই আনতে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তবর্তী উপাচার্য স্বয়ং বুদ্ধদেব সাউ। তখনই প্রকাশ্যে আসে রাজভবনের পক্ষ থেকে বুদ্ধদেব সাউকে অপসারণের চিঠি। সূত্রের খবর, তারপরেই ফিরে যান ইউজিসির চেয়ারম্যান। যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের এই সংক্রান্ত একটি মামলা চলছে সেই কারণ দেখিয়েও সমাবর্তন অনুষ্ঠানে না-থাকার অনিশ্চয়তা প্রকাশ করেন চিনি।
তবে শুধু ইউজিসির চেয়ারম্যান নন, চেয়ার ফাঁকা থাকল আচার্য সিভি আনন্দ বোসের ৷ এই প্রথম যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে দেখা মিলল না আচার্যের। যদিও এর আগে একবার কালো পতাকা দেখে ফিরে যেতে হয়েছিল আচার্য জগদীপ ধনকড়কে। কিন্তু তিনি সমাবর্তন অনুষ্ঠান উপলক্ষে এসেছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে।
তাই মনে করা হচ্ছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে আচার্যের উপস্থিত না থাকা এক নজিরবিহীন ঘটনা। যদিও প্রথম থেকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান সম্ভব কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এই অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে একটি কোর্ট বৈঠক হয়। যেখানে অন্তবর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ ডিগ্রি প্রধানের দায়িত্ব দেন সহউপাচার্য অমিতাভ দত্তকে। ইউজিসির চেয়ারম্যান, আচার্য অনুপস্থিত থাকলেও, সমাবর্তন অনুষ্ঠানে দেখা গেছে অন্তবর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে। তাঁর নেতৃত্বেই শুরু হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী সমাবর্তন অনুষ্ঠান।
জানা যাচ্ছে, কোর্ট বৈঠক শেষ করে প্রায় 10:45 নাগাদ, তারপরেই শুরু হয় সমাবর্তন অনুষ্ঠান। এবারের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অন্যতম বিরল দিক আচার্যের অনুপস্থিতি। আচার্য উপস্থিতি ছাড়াই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে 66তম সমাবর্তন অনুষ্ঠান। বিতর্কের ইতি ঘটাতে পারলো না যাদবপুর।
আরও পড়ুন: