কলকাতা, 28 জুন: রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য আরও 315 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাচ্ছে কেন্দ্র ৷ বাহিনী নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ঠান্ডা লড়াই চলছিল কেন্দ্রের ৷ চিঠির পালটা চিঠি চালাচালিও হয়েছে দু'পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকবার ৷ শেষ পর্যন্ত বাহিনী পাঠাতে সম্মত হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ রাজ্যের 11 জেলায় সিআরপিএফ, 6 জেলায় সিআইএসএফ, 9 জেলায় বিএসএফ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ৷ আর সেই মর্মে কেন্দ্রের তরফে একটি তালিকাও পাঠানো হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ৷
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে পাঠানো তালিকায় দেখা গিয়েছে, সবচেয়ে বেশি বাঁকুড়া, বীরভূম, উত্তর ও দক্ষিণ 24 পরগনা, ঝাড়গ্ৰাম এবং নদিয়ায় বাহিনী পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। বীরভূমে 19, নদিয়ায় 18, উত্তর 24 পরগনায় 22, দক্ষিণ 24 পরগনায় 18 এবং বাঁকুড়ায় 24 কোম্পানি বাহিনী পাঠাচ্ছে কেন্দ্র ৷ উল্লেখ্য, এর আগে বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কমিশনের কাছে নির্দিষ্ট জবাব চেয়েছিল কেন্দ্র ৷ কোথায় কত এবং কীভাবে কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করছে, তার স্পষ্ট ধারণা চেয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ৷ এরপর অবশ্য কেন্দ্র নিজে থেকেই বাহিনী কোথায় কত মোতায়েন করতে হবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট গাইড লাইন তৈরি করেই পাঠিয়েছে ৷ এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীবা সিনহা বলেন, "315 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আশা করছি আজ থেকেই আসবে।"
অন্যদিকে, নির্বাচনী প্রচারে লাউড স্পিকার ব্যবহার নিয়ে এবার সতর্ক রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এর আগে প্রচারে বাইক এবং গাড়ির ব্যবহার নিয়ে কড়া নির্দেশিকা দিয়েছিল কমিশন ৷ এবার প্রচারে মাইক ব্যবহারের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু গাইড লাইন বেঁধে দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন ৷ রাজনৈতিক দলগুলি প্রচারে যখন তখন লাউড স্পিকার ব্যবহার করতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে। পাশাপাশি কমিশনের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নির্বাচনের সময় লাউড স্পিকার প্রচারের একটা মাধ্যম হলেও উচ্চস্বরে বাজানোর জন্য সাধারণ মানুষের সমস্যা হয় ৷ পড়ুয়াদেরও সমস্যা হয়।
আরও পড়ুন: হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর চাকরি জীবন শেষ হতে বাকি দুদিন, এখনও এল না মেয়াদ বৃদ্ধির মঞ্জুরি
কমিশন জানিয়েছে, ভোটের প্রচারে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় সকাল আটটা থেকে রাত 10টা পর্যন্ত এই লাউড স্পিকার ব্যবহার করা যাবে। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলি চলমান গাড়িতে লাউড স্পিকার ব্যবহার করতে গেলেও অনুমতি নিতে হবে নির্দিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের থেকে।