কলকাতা, 2 মে : দ্বিতীয় দফায় লকডাউন শেষ হওয়ার কথা ছিল 3 মে । কিন্তু দেশে কোরোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে গতকাল সে মেয়াদ বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার । যাতে সম্পূর্ণ সমর্থন রয়েছে কংগ্রেসের । তবে, লকডাউনের জেরে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের আর্থিক বিষয়টি নিয়ে সরকার কী ভাবছে তা স্পষ্ট করতে আবেদন করেছে কংগ্রেস ।
কেন্দ্রীয় সরকারের বর্ধিত লকডাউনের প্রস্তাব নিয়ে কংগ্রেসের মানসিকতা আগের মতোই রয়েছে । মানুষের স্বার্থে, মানুষকে বাঁচাতে তারা এই লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি সমর্থন করছে । এবিষয়ে কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের পাশে রয়েছেন । তবে, এই লকডাউনে দেশের আর্থিক অবস্থা নিয়ে একটা সঠিক দিশা থাকা উচিত বলে মনে করছেন তিনি । বলেন, "তৃতীয় পর্যায়ের লকডাউনের পর দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত হবে । এর ফলে যাঁদের ইতিমধ্যেই চাকরি চলে গেছে অথবা যাঁদের চাকরি যাবে তাঁদের বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা কী ? সেটা স্পষ্ট করতে হবে । এই সময় অর্থনীতির সঠিক দিশা না থাকলে অচিরেই গরিব মানুষ থেকে ক্ষুদ্র, অতি ক্ষুদ্র শিল্পের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হবে ।"
প্রদীপ ভট্টাচার্য উদ্বেগের সঙ্গে জানান, যাঁদের কথা কেউ ভাবে না, তাঁরা হলেন মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষজন । ইতিমধ্যেই এসব মানুষের দুর্ভোগ শুরু হয়ে গেছে । কারও বেতন হয়নি । অথবা কেউ বেতনের অর্ধেক পেয়েছেন । কিন্তু তাঁদের সংসারের খরচ তো কমেনি । বাড়ি ভাড়া অথবা ব্যাঙ্কের কিস্তি সবই দিতে হচ্ছে । ছেলে-মেয়েদের স্কুলের ফিও দিতে হচ্ছে । বাড়ির পরিচারক -পরিচারিকারা কাজ না করলেও তাঁদের বেতন দিতে হচ্ছে । তাই দেশের এইসব মানুষের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কী ভাবছে সেটা স্পষ্ট করা উচিত ।
এদিকে পরিচারক-পরিচারিকারা কাজ না করলে তাঁদের বেতন দেওয়াও অনেক সময় সম্ভব হচ্ছে না । সেক্ষেত্রে এতগুলি দিন কাজ না থাকায় রীতিমতো পথে বসার মতো অবস্থা তাঁদের । এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রদীপবাবুর আবেদন, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার মাধ্যমে দেশের এমন লাখ লাখ পরিচারক- পরিচারিকাদের মাসিক বেতন দেওয়া হোক । তাহলে তাঁরা অন্তত খেতে পাবেন ।