কলকাতা, 11 জানুয়ারি: আরও একবার কেন্দ্রের মুখে রাজ্যের প্রশংসা । রাজ্যের শিক্ষা পরিকাঠামোর প্রশংসা করল কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক । আট থেকে 10 জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যে পরিদর্শনে এসেছিল কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের এক প্রতিনিধি দল । বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলার একাধিক জায়গায় সেই প্রতিনিধি দল পরিদর্শনে যায় । পরিদর্শনের পরে রাজ্যের শিক্ষার পরিকাঠামোর প্রশংসা করেছে তারা ৷
গত 3 জানুয়ারি কেন্দ্রের তরফ থেকে চিঠি দিয়ে রাজ্যকে বলা হয়েছিল, সমগ্র শিক্ষা অভিযান-সহ কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্প যথাযথ ভাবে পালন করা হচ্ছে কি না, তা জানতে পরিদর্শনে যাবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল ৷ সেই অনুযায়ী বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন ব্লকের প্রাথমিক থেকে উচ্চ প্রাথমিক স্কুলগুলি পরিদর্শন করে তারা । এর পরে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রাজ্যের স্কুলগুলির প্রশংসা করেন । কোনও স্কুলের ল্যাবটোরি, কোনও স্কুলের মিড ডে মিল, কোনও স্কুলের প্রধান শিক্ষকের ভূমিকা-সহ পুরো পরিকাঠামোরই প্রশংসা করেছে কেন্দ্রীয় দল ।
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় এই প্রতিনিধি দলের সদস্য তথা কেন্দ্রীয় উচ্চশিক্ষা দফতরের ডিরেক্টর এমএল সোনির কথায়, "প্রধানমন্ত্রী উচ্চতর শিক্ষা অভিযান বা পিএম ঊষা প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গের কলেজগুলির জন্য 905 কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র । এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার দেয় 547 কোটি টাকা । বাকিটা দেয় রাজ্য । কেন্দ্রীয় বরাদ্দের মধ্যে ইতিমধ্যেই দু'দফায় মোট 377 কোটি টাকা রাজ্য শিক্ষা দফতরকে দেওয়া হয়েছে । বাকি রয়েছে তৃতীয় কিস্তির 160 কোটি টাকা ।"
- — Bratya Basu (@basu_bratya) January 10, 2024 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
— Bratya Basu (@basu_bratya) January 10, 2024
">— Bratya Basu (@basu_bratya) January 10, 2024
তারপরেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু টুইটে জানান, কেন্দ্রীয় দল যা পেয়েছে তা গেরুয়া রঙে রাঙানো । তাঁরা জানেন না রাজ্য সরকার পড়ুয়াদের স্কুল ইউনিফর্ম এবং জুতোও দেয় । তাঁরা মিড-ডে মিলের কথা বলছে । কিন্তু কেন্দ্রীয় বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছে ।
এরপর নতুন একটি ভিজিটরস বুক প্রকাশ্যে আসতেই পালটা টুইট করেন শিক্ষামন্ত্রী । সেখানে তিনি জানান, দেখা যাচ্ছে যে, বাঁকুড়ার বিভিন্ন স্কুলের ভিজিটর্স বুকে পরিদর্শক দল কেন্দ্রের নেতিবাচক ফলাফলগুলিকে উড়িয়ে দেয় । তারা স্কুলের পরিবেশের প্রশংসা করেছে । পিএম পোষণ প্রকল্পটিও সুন্দর করে চলছে বলে তারা জানিয়েছে । এতে স্কুলশিক্ষা দফতর যা বলছে সেটা যে সত্য তা প্রমাণিত হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: