নয়াদিল্লি, 3 অক্টোবর: মঙ্গলবার সন্ধেয় যন্তর মন্তর থেকে হেঁটে নয়াদিল্লির কৃষিভবনে পৌঁছন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-মন্ত্রীরা ৷ বাংলার মানুষের দাবিদাওয়া চিঠিতে চিঠিতে লিখে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির দফতরে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন তৃণমূলের সাংসদ-নেতা-মন্ত্রীরা ৷ কিন্তু তৃণমূলের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁদের নেতা-মন্ত্রীদের অপেক্ষা করিয়ে সাক্ষাতের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন ৷
এই মর্মে সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে ৷ সেখানে জানানো হয়, তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা এদিন সন্ধে 6টা 10 মিনিটে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে কৃষি ভবনে পৌঁছন ৷ 90 মিনিট অর্থাৎ, দেড় ঘণ্টা অপেক্ষার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্রদের জানানো হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁদের অভাব-অভিযোগ শুনতে অপারগ ৷ তিনি দফতর ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন ৷ তবে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে নাছোড় তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা কৃষি ভবনেই ধরনা-বিক্ষোভে বসেন ৷
অভিযোগ, তিনঘণ্টা অপেক্ষার পর পুলিশ এসে কৃষি ভবনে তৃণমূলের ধরনা হটিয়ে দেয় ৷ একপ্রস্থ ধস্তাধস্তির পর তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় ৷ তৃণমূল প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অমিত শাহের পুলিশের ন্যক্কারজনক আচরণের বিষয়টি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস তাঁদের টুইটারে পোস্ট করে লিখেছে, "গঠনমূলক আলোচনার বদলে বিজেপি দিল্লি পুলিশের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে আমাদের প্রতিনিধিদের হেনস্তা করতে এবং আটক করতে ৷"
আরও পড়ুন: '2 মাসের মধ্যে জব কার্ড হোল্ডারদের টাকা বেতন দিয়ে মেটাব', দিল্লিতে প্রতিশ্রুতি অভিষেকের
তৃণমূলের তরফে পোস্ট করা ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, ধরনারত তৃণমূল প্রতিনিধি দলকে কৃষি ভবন ছেড়ে দেওয়ার জন্য মাইকিং করছে পুলিশ ৷ কিন্তু তিন ঘণ্টা অপেক্ষার পরেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দেখা না-পাওয়ায় ক্ষুব্ধ দোলা সেন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়রা পুলিশের অনুরোধ উপেক্ষা করছেন এবং তাঁদের প্রশ্ন, "আমাদের প্রবেশ করতে কেন দেওয়া হয়েছিল ?" এরপরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে পুলিশের একপ্রকার বচসা হয় ৷ ঘটনাস্থলে ছিল মহিলা পুলিশও ৷ শেষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তনু সেনদের আটক করে দিল্লি পুলিশ ৷ সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের আটক করে মুখার্জি নগরে উৎসব সদনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷