কলকাতা, 10 অক্টোবর: একজন বিদেশি নাগরিক ভারতীয় নাগরিকদের বাক স্বাধীনতার অধিকার কেড়ে নেওয়ার আবেদন করছেন ৷ তিনি কী করে ভারতীয় নাগরিকদের অধিকার খর্ব করার আবেদন করেন ? রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মঙ্গলবার ঠিক এই ভাষাতেই কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রের সহকারী সলিসিটর জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্য । যুক্তি হিসাবে তিনি বলেন,"রুজিরা মামলায় উল্লেখ করেছেন তিনি একজন থাইল্যান্ডের বাসিন্দা ।"
সাম্প্রতিক কালে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তকে সামনে রেখে একশ্রেণির সংবাদমাধ্যমে তাঁদের নিয়ে অতিসক্রিয় প্রচার করছে বলে দাবি করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকালই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন । মামলায় তাঁর আবেদন, তাঁকে এবং তাঁর স্বামীকে জড়িয়ে এই সব তদন্ত সামনে রেখে মিথ্যে ও অর্ধসত্য খবর প্রকাশিত হচ্ছে । তাতে তাঁদের মৌলিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে । সেই মামলার শুনানিতেই এদিন কেন্দ্রের আইনজীবী তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করলেন রুজিরাকে ।
যদি রুজিরার তরফে আইনজীবী কিশোর দত্ত পালটা বলেন, "অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুচমুচে খবর বানানো হচ্ছে সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা প্রচার করে । এই সমস্ত রিপোর্ট দিয়ে তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন ক্ষতিগ্রস্ত করার প্রচেষ্টা চলছে। ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও বাক স্বাধীনতা সমস্ত ভারতীয় নাগরিকদের মৌলিক অধিকার । বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য আগামিকাল বুধবার ফের মামলাটি শুনবেন ।
আরও পড়ুন : কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত নিয়ে মিডিয়ার অতিসক্রিয় প্রচার নিয়ন্ত্রণের দাবিতে হাইকোর্টে রুজিরা
এর আগেও রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কেন্দ্র । কারণ ভারতবর্ষের আইন অনুযায়ী দ্বৈত নাগরিকত্ব স্বীকার করা হয় না । কিন্তু খাতায় কলমে রুজিরা এখনও থাইল্যান্ডের নাগরিক বলেই তার পরিচয় দেন ।
এই নিয়ে একাধিক মামলায় তাঁকে কটাক্ষের স্বীকারও হতে হয়েছে । এদিন ফের একবার তার সেই পরিচয় নিয়েই মূলত সওয়াল শুরু করলেন কেন্দ্রের আইনজীবী । যদিও এদিন শুনানি বেশিদূর এগোয়নি ।
পাশাপাশি বিচারপতিও জানান, সংবাদমাধ্যমের বিভিন্ন হাউসের আলাদা আলাদা ব্যবসায়ী নিয়ম থাকে । ফলে তাদের আলাদা আলাদা করে খবর পরিবেশন করতে হয় । সেটাও বিবেচ্য বিষয় । তবে তার মানে এই নয় যে মিথ্যা খবর পরিবেশন করা যাবে ।