কলকাতা, 18 ফেব্রুয়ারি: দেশের সব রেশন দোকানকে কমন সার্ভিস সেন্টার হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের ৷ এখানে রেশন সামগ্রীর পাশাপশি মিলবে পোস্ট অফিসের একাধিক পরিষেবা ৷ পাওয়ার যাবে রান্নার গ্যাসও ৷ এতে সাধারণ গ্রাহকেরা রেশন দোকানমুখী হবেন ৷ অন্যদিকে রেশন ডিলারদের আয়ও বাড়বে (Centre plans over Ration shop to Common Service Centres) ৷
এভাবে কেন্দ্র একঢিলে দুই পাখি মারতে চাইছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷ কারণ, আয় বাড়াতে রেশন ডিলারদের একাধিক সংগঠন গত কয়েক বছর ধরে কেন্দ্রের কাছে নানা আর্জি জানিয়ে আসছে ৷ বিক্ষোভ, মিছিল, সভা তো চলছেই ৷ 20 ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যপালের কাছে একাধিক স্মারকলিপি জমা দেবে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইজ শপ ডিলারস ফেডারেশন ৷ ওই সংগঠন সূত্রে খবর, দু'দিন আগে দিল্লিতে সারা ভারতের একাধিক রেশন ডিলার সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় খাদ্য ও গণবণ্টন আধিকারিকরা ৷ বৈঠকে সব রেশন দোকানকে 'কমন সার্ভিস সেন্টার'-এ পরিণত করার পক্ষে মত প্রকাশ করেন আধিকারিকরা ৷
রেশন দোকানগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ এই দোকানগুলিকে কমন সার্ভিস সেন্টার হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে খাদ্য পণ্যের সঙ্গে সারা দেশের 5.3 লক্ষ রেশন দোকান থেকে গ্যাস, ব্যাংক, ডাকঘরের পরিষেবা-সহ একাধিক ঘরোয়া জিনিস মিলবে ৷ গ্রাহক বাড়বে, ডিলারদের আয়ও বাড়বে ৷ কেন্দ্রের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিষয়ে ডিলার সংগঠনগুলি একমত হলেও মাসিক 50 হাজার টাকা আয়ের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আর্জি জানানো হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: রেশনে গণবণ্টন দেখতে রাজ্যে এসে স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যদের তরজা
অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইজ শপ ডিলারস ফেডারেশন-এর সাধারণ সম্পাদক বিশ্বমভর বসু বলেন, "কেন্দ্রকে রেশন ডিলারদের মাসিক 50 হাজার টাকা আয়ের ব্যবস্থা করে দিতে হবে ৷ এছাড়া আরও অনেকগুলি দাবি রয়েছে ৷ সেগুলি রাজ্যপাল মারফত ফের কেন্দ্রকে জানানো হবে ৷ 20 ফেব্রুয়ারি শিয়ালদা থেকে রানি রাসমণি এভিনিউতে অবস্থান বিক্ষোভ হবে ৷ সেখান থেকে প্রতিনিধি দল যাবে রাজ্যপালের কাছে ৷"
এদিকে 'দ্য ন্যাশনাল কনফারেন্স অন ট্রান্সফরমেশন অফ ফেয়ার প্রাইস শপ'-এর খাদ্য ও পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন (DFPD) সেক্রেটারি ডিপার্টমেন্ট অফ ফুড অ্যান্ড পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন (DFPD), সঞ্জীব চোপড়া বলেন, "ন্যায্য মূল্যর শপ ডিলাররা অতিরিক্ত কমিউনিটি পরিষেবা প্রদান করে 50 হাজার টাকা আয় করতে পারেন ৷ টয়লেট, পানীয় জল, ক্যামেরা এবং অন্য সামগ্রী বিক্রি করে গুজরাতের একাধিক রেশন দোকানের মালিক এই টাকা আয় করছেন ৷ ডিপিএফডি দ্বারা ভাগ করা নির্দেশক বৈশিষ্ট্য অনুসারে প্রতিটি জেলায় 75টি মডেল এফপিএস সনাক্ত এবং বিকাশের জন্য সব রাজ্য, ইউটিএসকে অনুরোধ করা হয়েছে ৷"
আরও পড়ুন: টানা তিন দিন দেশজুড়ে রেশন ধর্মঘট, বিপাকে পড়তে চলেছেন গ্রাহকরা