কলকাতা, 7 জুলাই: রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনার জন্য লেহ থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছল রাজ্যে ৷ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে শুক্রবার জানানো হয়েছে, যে বাহিনী পাঠাতে অতি তৎপর হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এবার আর ট্রেনে নয়, সরাসরি বায়ুসেনার বিমানে লেহ থেকে রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটের জন্য 5 কোম্পানি বাহিনী পাঠাল কেন্দ্র ৷ আর সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেও।
আর কয়েক ঘণ্টা বাকি রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের ৷ কিন্তু বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত রাজ্যে বাকি কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আদৌ এসে পৌঁছবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ ঘনীভূত হয় ৷ আর তা নিয়েই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে ফের চিঠি দেয় কমিশন ৷ আর সেই চিঠিরই এদিন উত্তর এসেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে ৷ কমিশন সূত্রে খবর, লেহ থেকে এয়ার লিফটিং করে আনা হচ্ছে পাঁচ কোম্পানি বাহিনী। এছাড়াও আনা হচ্ছে দুই প্লার্টুন কেন্দ্রীয় বাহিনী। এদিনই রওনা দিয়েছে সেই বাহিনী। তবে এই বাহিনী কলকাতা নয়, সোজা পৌঁছে যাবে পানাগড়। তবে 485 কোম্পানির মধ্যে কত কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছবে, তা নিয়ে এখনও কমিশনের কাছে তথ্য নেই বলেই জানা গিয়েছে ৷
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সংখ্যক বাহিনী কেন্দ্রের তরফে চাওয়া হয়েছিল কমিশনের পক্ষ থেকে তা আদৌ ভোটের আগে রাজ্যে পৌঁছবে কি না, তা নিয়ে এখনও দোলাচলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ৷ এর মধ্য়েই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে কমিশনে পাঠানো নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, রাত পোহালেই ভোট ৷ এত সংখ্যক বাহিনী ট্রেনে করে পাঠানো সম্ভব নয় ৷ এবার তাই এয়ারলিফট করে রাজ্য়ে বাহিনী পাঠাচ্ছে কেন্দ্র ৷
আরও পড়ুন: দু'দশকেরও বেশি সময় পর পাহাড়ের পঞ্চায়েত নির্বাচন, অতীত হয়েও প্রাসঙ্গিক সুভাষ ঘিসিং !
অন্যদিকে জানা গিয়েছে, এদিন পানাগড় অর্জন সিং বায়ুসেনা বিমান ঘাঁটিতে লেহ থেকে পাঁচ কোম্পানি বাহিনী বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে এসে পৌঁছেছে ৷ এখান থেকেই বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে আধা সেনা জওয়ানদের। এখনও পর্যন্ত বীরভূম, বাঁকুড়া, পুর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান-সহ বিভিন্ন জেলায় যেতে শুরু করেছে আধা সামরিক বাহিনী। রাত পোহালেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট ৷ অতি দ্রুত আধা সামরিক বাহিনীকে জেলায় প্রত্যেকটি বুথে মোতায়েন করার জন্যই অতি দ্রুততার সঙ্গে আধা সামরিক বাহিনীকে এনে নামানো হয় পানাগড়ে বায়ু সোনার ঘাঁটিতে । এই পাঁচ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে আইটিবিপি'র জওয়ান রয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
একই সঙ্গে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রস্তাবও এদিন মেনে নিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আইজি বিএসএফ এস সি বুদাকোডির প্রস্তাব মেনে নিয়ে সমস্ত জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং পুলিশ কমিশনারদের কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা-সহ চিঠি দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এখনও পর্যন্ত অবশ্য কমিশনের তরফে দাবি করা হচ্ছে, রাজ্যের প্রতিটি বুথে সশস্ত্র কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানকে রাখা যাচ্ছে না হিসেব অনুযায়ী ৷ সেই ক্ষেত্রে নানা মহলে এখন প্রশ্ন উঠছে যে, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে হাইকোর্টের শেষ রায় কি অবশেষে আদৌ কার্যকর করতে পারবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন?