কলকাতা, 5 সেপ্টেম্বর: দাপুটে কেষ্টর সম্পত্তি দিনে দিনে বাড়ল কীভাবে ? শুধু তাই নয়, সম্পদ বাড়ার গতি প্রায় উল্কার মতোই ৷ বিশেষ করে 2014 সালের পর থেকে অনুব্রত মণ্ডলের সম্পদ বিপুল আকার ধারণ করার নেপথ্যের রহস্য কী, তা জানতে এবার ব্যাংক আধিকারিকদের ডাকল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ এই বিষয়ে বোলপুর ও সিউড়ির চারটি ব্যাংক আধিকারিককে সমন পাঠিয়েছে সিবিআই । জানা গিয়েছে, আজই দুপুর 2টোর মধ্যে নিজাম প্যালেসে এসে তাঁদের হাজিরা দিতে হবে (CBI summons Bolpur and Suri 4 Bank Officials over Anubrata Mondal huge property) ।
নিজাম প্যালে সূত্রে খবর, এই চার আধিকারিকের বয়ান রেকর্ড করবেন তদন্তকারীরা । অনুব্রতর এবং তার ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তি বাড়ারর নেপথ্যে এই চারটি ব্যাংকের আধিকারিকদের কোনও ভূমিকা থাকলেও থাকতে পারে বলে মনে করছেন সিবিআই আধিকারিকেরা ।
জানা গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডল-সহ তাঁর ঘনিষ্ঠ মোট 10 জনের একটি তালিকা তৈরি করেছে সিবিআই । এবার সেই তালিকা ধরে ওই 4 ব্যাংক আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা । তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তির হিসেব সমেত একাধিক নথিপত্র নিয়ে সোমবার নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠানো হয়েছে আধিকারিকদের ।
আরও পড়ুন: বিধাননগরের আদালতে হাজিরার নির্দেশ, বিষ্যুতে ফের কলকাতামুখী অনুব্রত
ইতিমধ্যে 17 কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই ৷ এই ফিক্সড ডিপোজিটে অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের টাকা ছিল বলে সিবিআই সূত্রে খবর । ফলে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা মূলত এই চার ব্যাংক আধিকারিকের কাছ থেকে জানতে চাইছেন, কীভাবে অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর সহযোগীরা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলেছিল ? কোথায় কোন খাতে টাকার লেনদেন হয়েছিল ? এই ধরনের আরও একাধিক তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে ।
শুধু অনুব্রত মণ্ডল নয়, 10-12 জন সহযোগী গরুপাচার কাণ্ডে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত রয়েছে বলে অনুমান । দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতার প্রভাবেই ঘনিষ্ঠরা দিনের পর দিন কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে । তাই সম্পত্তির উৎস কী, তা জানতে সিবিআইয়ের কাছে বোলপুর এবং সিউড়ির চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের আধিকারিককে জেরা করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ।
আরও পড়ুন: গরুপাচার কাণ্ডে সিআইডির জালে এনামূল-ঘনিষ্ঠ জেনারুল