কলকাতা, 26 মে : এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ ইতিমধ্যেই শাসকদলের দুই মন্ত্রীকে দফায় দফায় জেরা করেছে সিবিআই ৷ আর তাতেই শিক্ষক নিয়োগে বড়সড় আর্থিক কেলেঙ্কারির ইঙ্গিত পাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা ৷ যে কারণে এই দুর্নীতিতে নাম জড়ানো প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং বর্তমান শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের দিকে নজর তদন্তকারীদের ৷ পার্থ ও পরেশ উভয়েরই ব্যাঙ্কের যাবতীয় তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে সিবিআই ৷ তেমন হলে এই দুর্নীতি তদন্তে এন্ট্রি হতে পারে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের ৷
এসএসসির নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে নাম জড়িয়েছে মেখলিগঞ্জের বিধায়ক তথা শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর । মেধাতালিকার ওয়েটিং লিস্টে নাম না থাকা সত্ত্বেও ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে চাকরি পায় তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী ৷ গোটা ঘটনা নিয়ে মামলা হলে হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় । পাশাপাশি অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দেয় আদালত । এই ইস্যুতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে । লাগাতার সিবিআই জেরার মুখে পড়তে হয়েছে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে ।
পরেশ অধিকারীর পর তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও তলব করে সিবিআই ৷ এসএসসির উপদেষ্টা কমিটি কেন ও কীভাবে গঠিত হল, উপদেষ্টা কমিটির সদস্যরা কোনওরকম প্রভাব খাটিয়েছিলেন কি না সেসব নিয়ে লাগাতার জেরার মুখে পড়েন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ৷ শুধুই কি রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যই শিক্ষক নিয়োগে এই দুর্নীতি ? নাকি নেপথ্যে রয়েছে কোটি কোটি টাকার কেলেঙ্কারি ? তা জানতে উঠে পড়ে লেগেছে সিবিআই ৷
আরও পড়ুন : SSC Recruitment Scam : পার্থর বক্তব্যের সঙ্গে মিল নেই এসপি সিনহার বয়ানের, খবর সিবিআই সূত্রে
ইতিমধ্যেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দু'বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা । পরে ফের তাঁকে ডাকা হতে পারে ৷ তবে এই জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব চলাকালীনই বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর সুকৌশলে এড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি ৷ সিবিআইয়ের দাবি, ইতিমধ্যেই তারা বেশ কিছু আর্থিক তছরূপের প্রমাণ পেয়েছেন । সেই প্রমাণগুলিকেই হাতিয়ার করে আদালতের দ্বারস্থ হয়ে এসএসসি দুর্নীতিতে সিবিআই এবার এনফর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে তদন্তে জুড়তে চায় ৷ তাই দুই মন্ত্রীর ব্যঙ্ক অ্যাকাউন্টের উপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে চলেছেন তদন্তকারী সংস্থা । তেমনটা হলে সিবিআই-ইডি দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার সাঁড়াশি চাপে দুই মন্ত্রী আরও বড় অস্বস্তিতে পড়তে পারেন ৷