কলকাতা, 4 মে: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার রাজ্যের একাধিক প্রভাবশালীদের পাশাপাশি কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের বেহালার বাড়িতে হাজির হল সিবিআই। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে বেহালায় কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের বাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ঘিরে ফেলেন এবং বাড়ির ভিতর হাজির হন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সিবিআইয়ের 6 থেকে 7 জনের আধিকারিক কালীঘাটের কাকুর বাড়ির ভিতরে ঢুকে তল্লাশি অভিযান চালায় বলে জানা গিয়েছে। তল্লাশি চলাকালীন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের বাড়ির বাইরে বা ভিতরে যাতে কেউ প্রবেশ করতে না-পারে তার জন্য বাইরে মোতায়েন ছিল সিআরপিএফের জওয়ানরা।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে প্রথম এই 'কালীঘাটের কাকু'র নাম শোনা গিয়েছিল গোপাল দলপতি এবং তাপস মণ্ডলের মুখে ৷ এরপরেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা খোঁজখবর করতে শুরু করেন যে কালীঘাটের কাকু আদতে কে? তারই উত্তর খুঁজতে গোপাল দলপতিকে জিজ্ঞাসা করা হলে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের তিনি একাধিকবার জানিয়েছেন যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বর্তমানে ধৃত কুন্তল ঘোষ তাঁকে একাধিকবার বলতেন তাড়াতাড়ি টাকা পাঠাতে হবে কলকাতায় কালীঘাটের কাকুর কাছে। মূলত কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যেত নিয়োগ দুর্নীতি মামলার কোটি-কোটি কালো টাকা।
আরও পড়ুন: অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নোটিশ সিবিআইয়ের
সেই কালো টাকা একাধিক প্রভাবশালীদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র বলে সিবিআই-এর অনুমান। ফলে এদিন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের বাড়িতে হাজির হন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা ৷ এখনও পর্যন্ত তল্লাশি অভিযান চলছে। সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা মূলত একাধিক ডকুমেন্টস বা নথিপত্র খতিয়ে দেখছেন। এর আগে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় কলকাতায় সিবিআইয়ের নিজাম প্যালেসে তলব করে। সেখানে তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়। সিবিআই সূত্রের খবর, মূলত গতবারের সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের দেওয়া বয়ান এদিন ক্রস কোয়েশ্চেনিং করে সত্যতা যাচাই করবে তারা ৷