কলকাতা, 26 জুলাই: বিভিন্ন পৌরসভায় নিয়োগ হয়েছিল অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমেই। রাজ্যের দুই পৌরসভার আধিকারিকদের জেরা করে এমনই তথ্য হাতে এসেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকদের হাতে ৷ তবে এখন সিবিআইয়ের কাছে অন্যতম মূল প্রশ্ন, এই নিয়োগের বরাত কার মারফৎ অয়ন শীল পেয়েছিল ? সেই প্রশ্নের উত্তরই খুঁজতে মরিয়া সিবিআই ৷
বুধবার কৃষ্ণনগর এবং শান্তিপুর পৌরসভার বেশ কয়েকজন আধিকারিকদের কলকাতার নিজাম প্যালেসে ডেকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক তথ্য জানতে পেরেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। যার মধ্যে অন্যতম, এই দুই পৌরসভাতেই নিয়োগ হয়েছিল অয়ন শীলের হাত ধরে ৷ এরপরই মূলত, সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা জানতে চাইছেন কতগুলি পদে নিয়োগ হয়েছিল অয়ন শীলের দ্বারা? এছাড়াও সবথেকে বড় যে প্রশ্নটা তদন্তকারীরা জানতে চাইছেন, তা হল অয়ন শীলের যে সংস্থাকে নিয়োগের বরাত দেওয়া হয়েছিল, সেই বরাতের দায়িত্বে কে ছিলেন? অর্থাৎ কার নির্দেশে সেই বরাত দেওয়া হতো অয়ন শীলের সংস্থাকে, তা জানতে চাইছে সিবিআই।
সিবিআই সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই পৌরসভার আধিকারিকদের কাছ থেকে বেশ কিছু নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে। তদন্তকারী আধিকারিকদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে কোথায়, কবে, কীভাবে নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল? মূলত, অয়ন শীলের সল্টলেকের বাড়ি এবং অফিসে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু নথিপত্র পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সেই সকল নথিপত্র ঘেঁটে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছিলেন, যে শুধুমাত্র শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ড নয় বরং অয়ন শীলের হাত ধরে বিভিন্ন পৌরসভাতেও দেদার নিয়োগ হয়েছিল।
আরও পড়ুন: স্কুলে বদলি দুর্নীতিতে মানিকের বিরুদ্ধে এফআইআর সিবিআইয়ের
সূত্রের খবর, নথিপত্রগুলি চাওয়া হয়েছে, তা 31 জুলাইয়ের মধ্যে কৃষ্ণনগর পৌরসভাকে জমা দিতে হবে। তবে পালটা জানা গিয়েছে, 2009 সাল থেকে শান্তিপুর পৌরসভায় কোনও প্রকারের নিয়োগ হয়নি। এছাড়াও 2018 সালে একবার নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছিল বলে দাবি পৌরসভার। কিন্তু সেক্ষেত্রে গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি মিলিয়ে মোট 18টি পদে নিয়োগের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সিবিআইয়ের অভিযোগ সে ক্ষেত্রে অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমেই সেই পরীক্ষা হয়েছিল।