কলকাতা 4 এপ্রিল: ইসলামপুরের দাঁড়িভিট স্কুলে গুলির আঘাতে দুই ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত ও সিবিআই তদন্ত চেয়ে মামলা হল কলকাতা হাইকোর্টে ৷ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে এই মামলা হয় মঙ্গলবার । বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, কেনও চার বছর লাগল সিআইডির তদন্ত শেষ করতে ? জানতে চায় হাইকোর্ট । যে পুলিশ আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ তাদের সিআইডি জেরা করেছে ? তারা কী জানিয়েছে ? এসপি, স্থানীয় বিধায়ক ও সাংসদ সেখানে ছিলেন । তাদের ব্যাপারে সিআইডি তদন্তে কী পাওয়া গিয়েছে ?
বিচারপতি প্রশ্ন করেন, গুলির খোল ঘটনাস্থল থেকে ইসলামপুর পুলিশ উদ্ধার করলেও সেগুলি সিআইডিকে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ । কিন্তু কেন দেওয়া হল না ? জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তদন্ত করে সিবিআই তদন্তের পক্ষে সুপারিশ করেছে । রাজ্য মানবাধিকার কমিশন প্রথমে পদক্ষেপ করলেও পরে জাতীয় কমিশন এগিয়ে এলে তারা তদন্ত থেকে সরে দাঁড়ায় । এই নিয়ে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের বক্তব্য কী ? তদন্তের কেস ডায়েরি আগামী শুনানিতে জমা দিতে নির্দেশ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার । 19 এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন তিনি ।
প্রসঙ্গত, 2018 সালের 20 সেপ্টেম্বর দাঁড়িভিট স্কুলে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ । অভিযোগ, সেই সময় পুলিশের গুলিতে স্কুলের দুই প্রাক্তন ছাত্রের মৃত্যু হয় । এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিতে তাঁদের পরিবার ও এলাকাবাসীদের একাংশ আন্দোলনে নামেন । প্রায় দু'মাস ধরে বন্ধ ছিল দাঁড়িভিট স্কুল । প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ কুণ্ডু এবং সহকারি প্রধান শিক্ষক নূরুল হুদাকে সাসপেন্ড করা হয় । দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার পর স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় ফের স্কুল খুলেছিল । কিন্তু তার তদন্তে ঠিক কী হয়েছিল, তা জানা যায়নি ।
আরও পড়ুন: রিষড়ায় আবারও সংঘর্ষ কেন ? রাজ্যের কাছে জবাব চাইল হাইকোর্ট