কলকাতা, 6 সেপ্টেম্বর: সাংসদ শিশির অধিকারীর গাড়িতে মঙ্গলবার হামলার ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা হল মামলা ৷ ঘটনার পর পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের সিঙ্গল বেঞ্চে মামলা দায়ের আবেদন জমা পড়ে ৷ বিচারপতি আগামী শুক্রবার এই মামলাটি শুনবেন বলে জানিয়েছেন ৷ উল্লেখ্য, খেজুরি 2 নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার ঘটনায় সাংসদ শিশির অধিকারীর উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে ৷ সেই ঘটনায় আহত হন বর্ষীয়ান সাংসদ ৷ সেই ঘটনাতেই পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে ৷
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন কাঁথি লোকসভার সাংসদ শিশির অধিকারী ৷ তিনি মামলায় অভিযোগ করেছেন, মঙ্গলবার খেজুরি 2 নম্বর ব্লকে পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতির নির্বাচন চলাকালীন তাঁর গাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে ৷ এমনকী সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিডিও অফিসের সামনে বোমাবাজি হয় ৷ আর তাঁর গাড়িতে যেভাবে ইট মারা হয়েছে, তাতে তিনি গুরুতর আহত হতে পারতেন ৷ তাঁর অভিযোগ এই পুরো ঘটনায় পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ৷ আবেদনের ভিত্তিতে বিচারপতি মামলাটি আগামী শুক্রবার শুনানির দিন ধার্য করেছেন ৷
খেজুরি 2 নম্বর বিডিও অফিসের সেই ঘটনায় শিশির অধিকারী ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ জানিয়েছেন ৷ লোকসভার অধ্যক্ষের কাছেও অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন বর্ষীয়ান সাংসদ ৷ হামলার সেই ঘটনায় গতকাল শিশির অধিকারীকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় কাঁথির হাসপাতাল থেকে ৷ পাশাপাশি, হামলার ঘটনায় বিডিও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ৷ তাঁকেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ৷ বিডিও অসুস্থ হয়ে পড়ায় গতকাল স্থায়ী সমিতি নির্বাচন প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায় ৷ উল্লেখ্য, শিশির অধিকারী ওই নির্বাচনে ভোটদান করতে গিয়েছিলেন ৷ তিনি কোন দলের হয়ে ভোট দেবেন, এ নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে বচসা থেকে ঝামেলা বাঁধে ৷
আরও পড়ুন: শিশির অধিকারীর কনভয়ে হামলা, প্রাথমিক চিকিৎসার ছাড়া পেলেন আহত তৃণমূল সাংসদ
ওই ঘটনায় তৃণমূলের সাংসদ শান্তনু সেন বলেছেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদে এবং তৃণমূল কংগ্রেসের বদান্যতায় জোড়াফুল চিহ্ন ব্যবহার করে শিশির অধিকারী সাংসদ হয়েছেন ৷ কেন্দ্রের মন্ত্রীও হয়েছিলেন ৷ এখনও পর্যন্ত সাংসদ হিসাবে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন ৷ অথচ বিভিন্ন সময় তিনি প্রকাশ্যে দলবিরোধী কাজ করছেন ৷ হিম্মত থাকলে তৃণমূলের প্রতীক থেকে সরে পদত্যাগ করুন ৷ অন্য প্রতীক পছন্দ হলে লড়াই করে জিতে দেখান ৷"