কলকাতা, 13 অক্টোবর: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের (Primary Recruitment Scam) বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করা হল কলকাতা হাইকোর্টে (High Court) ৷ 29 সেপ্টেম্বর 2022-এর রাজ্যের দেওয়া প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি এবং 28 জুন 2018 এনসিটিই (NCTE) এর দেওয়া বিজ্ঞপ্তিকে (যেখানে বিএডদেরকে যোগ্য হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে) চ্যালেঞ্জ করে এই মামলা করা হয়েছে। প্রার্থীদের দাবি, অবিলম্বে রাজ্যের ওই বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করা হোক । আদালত সূত্রে জানা যাচ্ছে, 10 জন মামলাকারী মামলা করেছেন ৷
উল্লেখ্য, এই সংক্রান্ত স্বর্ণজিৎ বসু মামলায় সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল স্থগিতাদেশ দিয়েছে। মামলাকারীদের বক্তব্য, 29 সেপ্টেম্বর 2022 রাজ্য প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। প্রার্থীর যোগ্যতায় বলা হয়েছে, যাদের ট্রেনিং রয়েছে (ডিএলএড, বিএড) তাঁরা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। কিন্তু কেন বিএড-দের সন্মতি দেওয়া হল ? সেই প্রশ্ন তুলে হল মামলা।
মামলাকারীদের আরও বক্তব্য, আগে বিএড-দের সুযোগ দেওয়া হত না। কিন্তু পরে রাজ্য বিএড-দেরও প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য যোগ্য বলে ঘোষণা করে। ফলে ডিএলএডদের সুযোগ কমে যাচ্ছে। ডিএলএড ট্রেনিং শুধুমাত্র প্রাথমিক স্তরের চাকরি প্রার্থীদের জন্যই। বিএড যোগ্যতা বাদ দিয়ে অবিলম্বে একটি সংশোধনী প্রকাশ করুক প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
আরও পড়ুন: মোমিনপুরের ঘটনায় সিট গঠনের নির্দেশ, এনআইএ তদন্ত নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র, জানাল হাইকোর্ট
যদিও 2018-এ এনসিটিই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায় বিএড'রা প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক হিসাবে ট্রেনিংপ্রাপ্তদের মতোই বিবেচিত হবে। রাজ্যের তরফে আইনজীবী তপন মুখোপাধ্যায় বলেন, "সবে আবেদনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। 21 অক্টোবর থেকে আবেদন নেওয়া শুরু হবে।" অন্যদিকে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানায় 2018 এর পরে 2020 সালে ইতিমধ্যেই 16 হাজারের বেশি নিয়োগ হয়ে গিয়েছে এনসিটিই নির্ধারিত যোগ্যতার ভিত্তিতে।
তাহলে এখন মামলাকারীদের এই মামলার যৌক্তিকতা কোথায়? সোমবার সব পক্ষকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের। সম্প্রতি রাজস্থান হাইকোর্ট এনসিটিই-এর বিজ্ঞপ্তির খারিজ করে একটা নির্দেশ দিয়েছে। সেই নির্দেশের কপি ও সোমবার আনতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশও আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।