কলকাতা, 25 জুন : ইস্টবেঙ্গলের বিদায়ী বিনিয়োগ সংস্থার বিরুদ্ধে ফিফায় যাওয়ারহুমকি দিলেন ফিজ়িও কার্লোস নোদার। স্প্যানিশ ফিজিওর অভিযোগ লকডাউনের সময় কলকাতায়থাকাকালীন ইস্টবেঙ্গলের বিনিয়োগ সংস্থা তাদের পাশে দাঁড়ায়নি। একইভাবে প্রাপ্য বেতনথেকে বঞ্চিত করেছে । চুক্তি অনুসারে কার্লোস নোদারের সঙ্গে 2021 সালের মে মাসপর্যন্ত চুক্তি রয়েছে । কিন্তু বিনিয়োগ সংস্থা আকস্মিকভাবে চুক্তিছেদের নোটিশধরিয়েছে এবং একমাসের বেতন না দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে ।
ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে 2018 সালে গাটছড়া বেধে ভারতীয় ক্লাব ফুটবলেপথ চলা শুরু করেছিল বেঙ্গালেরুস্থিত কম্পানিটি । কিন্তু সময় যত এগিয়েছে ততই ক্লাবএবং বিনিয়োগ সংস্থার মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে । শেষ পর্যন্ত চলতি বছরের মে মাসের 31 তারিখে বিচ্ছেদ । যদিও ক্লাবকেস্পোর্টিং রাইটস ফিরিয়ে বিষয়টি নিয়ে গড়িমসি চলছে । তবে ক্লাব এবং বিনিয়োগ সংস্থারচুক্তি বিভ্রাটের মধ্যে ঢুকতে রাজি নন কার্লোস নোদার ।
স্প্যানিশ ফিজ়িওর অভিযোগ,"না, আমি আমার বেতন পাইনি । আমার চুক্তি 24 মাসের এবং তা শেষ হবে আগামী বছরের 31 মে । আমি তাই এপ্রিল, মে এবং পরবর্তী একবছরের বেতন দাবিকরছি । যদি এই বিষয়ে কোনও সদুত্তর না আসে তাহলে ফিফার দ্বারস্থ হতে হবে ।"
লকডাউনে ঘরবন্দী অবস্থায় বিনিয়োগ সংস্থার কাছে বারবার আবেদন করেওঅসহযোগিতা পেয়েছেন বলে অভিযোগ করছেন নোদার । "খাবার,জল চেয়ে বারবার বলা হলেও বেশিরভাগ সময়সাহায্য মেলেনি । চিকিৎসকের জন্য বলেও প্রথমে সাড়া পাওয়া যায়নি,"অভিযোগ স্প্যানিশফিজ়িওর । এমনকী আমফানের দূর্যোগের সময় অসহনীয় পরিস্থিতির মধ্যেও বিনিয়োগকারীসংস্থা সাহায্য করেনি বলে অভিযোগ । কঠিন সময়ে চুক্তির বাইরে অতিরিক্ত অর্থের দাবিফুটবলারদের তরফে করা হলেও তা আমল দেওয়া হয়নি ।
যদিও বিনিয়োগ সংস্থার পক্ষ থেকে এই অভিযোগের কথা জোরালো ভাবে খণ্ডনকরা হয়েছে । দলের বাকি স্প্যানিশ ফুটবলাররা দেশে ফিরলেও কার্লোস নোদার ফিরে যেতেঅস্বীকার করেছিলেন । এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন চুক্তি অনুসারে যেভাবে তাকে নিয়ে আসাহয়েছিল সেভাবেই দেশে ফেরানোর কথাও ছিল । তাই মে মাসের চার তারিখ ফিরতে রাজি হননি ।
তাছাড়া ওই সময় দেশে ফেরার বিষয়টি মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গলেরস্প্যানিশ ফুটবলার এবং কোচেরা দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা করেছিল ।পরবর্তী সময়ে বিমান না পাওয়ার কথা বলা হলেও তা সত্যি ছিল না বলে অভিযোগ করেছেননোদার । শেষপর্যন্ত ফেরার টিকিট মিললেও বিনিয়োগকারী সংস্থা যেভাবে ব্যবস্থা করেছেতা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে । খাওয়ার টাকা ঠিক ভাবে দেওয়া হয়নি । বাধ্য হয়ে বন্ধুদের কাছথেকে টাকা ধার করে ফিরেছেন বলে অভিযোগ করেছেন নোদার । এবার চুক্তি অনুসারে বকেয়ানা পেলে ফিফায় যাওয়ার হুমকি দিচ্ছেন । তাই বিচ্ছেদ হয়েও ইস্টবেঙ্গলের অশান্তি কমছেনা ।