কলকাতা, 8 মে : স্বাস্থ্য দফতরের সবুজসংকেত ছাড়া শহরে পৌঁছে সেফ হোম করা যাবে না ৷ জানিয়ে দিল কলকাতা পৌরনিগম । কারণ সেখানে চিকিৎসাধীন কোনও রোগের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্রুত সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা প্রয়োজন । সর্বোপরী রাজ্য সরকারের চলতি নিয়মে স্বাস্থ্য দপ্তরের সম্মতি ছাড়া কোথাও কোনও করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি করা যাচ্ছে না । এই কারণে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে সেফ হোম করতে চাইলেও তা শুরু করা যাচ্ছে না । ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন ওয়ার্ড কো-অডিনেটর কলকাতার বিভিন্ন ওয়ার্ডে সেফ হোম চালু করার আবেদন জানিয়েছে কলকাতা পৌরনিগমের কাছে ।
আজ কলকাতা পৌর নিগমের প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য বিধায়ক অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে শহরের বিভিন্ন প্রান্তের সেফ হোম তৈরি করার জন্য ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর আবেদন জানিয়েছে । 118 নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর তারক সিং এলাকার কমিউনিটি সেন্টারে সেফ হোম তৈরি করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন । এর পাশাপাশি 25 নম্বর ওয়ার্ডে সেফ হোম তৈরি করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন এলাকার কো-অডিনেটর স্মিতা বক্সি । সেইসঙ্গে শ্যামপুকুর বিধানসভার এলাকাতেও আরও একটি সেফ হোম তৈরি করার নিয়ম ইতিমধ্যেই ভাবনা চিন্তা করছেন শশী পাঁজা । কিন্তু পরিকল্পনা থাকলেও সেফ হোম শুরু করা যাবে না রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত । অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, কোনও মুমূর্ষ রোগীর অক্সিজেনের প্রয়োজন হলে অক্সিজেন দেওয়ার পরিকাঠামো থাকতে হবে সেই সেফ হোমে । সেই সঙ্গেই রোগীকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে গেলে সরকারি হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে । তাই রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত সেফ হোম শুরু করা যাবে না ।
লেক মার্কেটের পাশে সর্দার শংকর রোডে আরও একটি সেফ হোম শুরু করা হচ্ছে । এই সেফ হোমের উদ্যোগ নিয়েছেন এলাকার বিধায়ক ও কলকাতা পৌরনিগমের প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য দেবাশিস কুমার । প্রাথমিকভাবে এই সেফ হোমটি 20টি বেড নিয়ে শুরু করা হচ্ছে । এই সেফ হোম করাতে সহযোগিতা করতে এগিয়ে এসেছেন নিয়েছেন অভিনেতা যীশু সেনগুপ্ত ও সঙ্গীত পরিচালক ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত ।