কলকাতা, 5 এপ্রিল: প্রদীপ-মোমবাতি জ্বালালে নাকি বাড়বে ইমিউনিটি । মানুষের শরীর-মন ভালো থাকবে । পাশাপাশি কোরোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় সাধারণ মানুষের মধ্যে লড়াই করার মানসিকতাও বাড়িয়ে তোলা সম্ভব হবে । এমনই দাবি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের ।
5 এপ্রিল রাত ন'টা থেকে নয় মিনিটের জন্য দেশবাসীকে প্রদীপ-মোমবাতি জ্বালানোর কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । COVID-19-এর মোকাবিলায় এই উদ্যোগে কতটা উপকার পাওয়া যেতে পারে ? আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক অশোক কুমার জৈন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা উপদেষ্টা । তিনি বলছেন, "আয়ুর্বেদে আগে থেকেই বলা আছে, প্রদীপ, মোমবাতি জ্বালানো হলে দূষিত বাতাবরণ নির্মল হয়ে যায় । বাতাবরণ অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল হয়ে যায় ।" ওই চিকিৎসক আরও বলেন, "এখনও পর্যন্ত এই রকম স্টাডি নেই যে প্রদীপের আলোয় এই ভাইরাস(COVID-19)মারা যাবে । তাও প্রদীপ-মোমবাতির কাছাকাছি যে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া সেগুলি মারা যাবে । প্রদীপ-মোমবাতি জ্বলতে দেখলে মনটাও নির্মল হবে ।"
বাড়িতে থেকে অনেকেরই অবসাদ দেখা দিচ্ছে । কারণ এইসময়ে শরীর সেভাবে অ্যাকটিভ নয় । একথা জানিয়ে চিকিৎসক অশোক কুমার জৈন বলেন, "প্রদীপ-মোমবাতি জ্বলতে দেখলে মনেরও বদল হবে । আর মন নির্মল হলে শরীর ভালো থাকবে। শারীরিক, মানসিক ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়বে । তখন যে কোনও সংক্রমণের বিরুদ্ধে আপনি লড়াই করতে পারবেন । যাঁদের ইমিউনিটি ভালো তাঁদের কোরোনা সংক্রমণ হচ্ছে না।" তিনি আরও বলেন, "একটা ভালো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মানুষের শারীরিক, মানসিক পরিবর্তন হবে । এর সঙ্গে পরিবেশেও বদল আসবে ।"
COVID-19-এর প্রতিরোধের ক্ষেত্রে প্রদীপ-মোমবাতি জ্বালানোয় কতটা উপকার পাওয়া যেতে পারে ? চিকিৎসক বলছেন, "COVID-19-এর সঙ্গে প্রদীপ-মোমবাতি জ্বালানোর কোনও সম্পর্ক নেই । আয়ুর্বেদিক দিক থেকে ভাবতে হলে, প্রদীপ সব থেকে ভালো । সরষের তেল দিয়ে প্রদীপ জ্বালানো হলে ভালো । দেশি ঘি দিয়ে প্রদীপ জ্বালানো হলে খুবই ভালো ।" রাজ্যপালের আয়ুর্বেদ চিকিৎসক বলছেন, "অনেকের ক্ষেত্রে প্রদীপ জ্বালানো সম্ভব নাও হতে পারে । সেক্ষেত্রে তাঁরা মোমবাতি জ্বালাবেন ।"
কলকাতার ইনস্টিটিউট অফ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট আয়ুর্বেদিক এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের অধ্যাপক প্রদ্যোৎ বিকাশ কর মহাপাত্র । পশ্চিমবঙ্গ আয়ুর্বেদ কাউন্সিলের সহ সভাপতিও তিনি । তাঁর কথায়, "প্রদীপ-মোমবাতি জ্বালানোর এই কর্মসূচির মাধ্যমে সবাইকে একত্রিত করা যায় । সবার মধ্যে এই ধারণা তৈরি করা যে সবাই একই জিনিস করছি । এটা একটা প্রতীকী ব্যাপার হতে পারে ।" ওই চিকিৎসক আরও বলেন, "আয়ুর্বেদে বলা আছে যখন অমঙ্গল চলে তখন জনপদ ধ্বংস হয় । এটা দূর করতে কিছু মাঙ্গলিক কাজকর্ম রয়েছে । এই যে মোমবাতি-প্রদীপ জ্বলবে, এর মাধ্যমে পাপ-অধর্ম ধ্বংস হবে । অন্ধকার থেকে আলোর দিকে যাওয়ার এটা একটা উদ্দেশ্য হতে পারে । তবে প্রদীপ-মোমবাতি জ্বালানোটা প্রতীকী কর্মসূচি ।"
প্রদ্যোৎ বিকাশ কর মহাপাত্র আরও বলেন, "সবাই দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন । এই কর্মসূচির মাধ্যমে সেই দুশ্চিন্তা দূর হয়ে মনে আলোর জ্যোতি আসুক । সকলে মঙ্গলের কথা ভাবুক । পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় সকলের আশীর্বাদ নিয়ে যাওয়া হয় । তার মানে কি আশীর্বাদ না নিলে পরীক্ষার ফল ভালো হবে না ? আসলে এই আশীর্বাদ মনোবল বাড়িয়ে তোলে । প্রদীপ-মোমবাতি জ্বালানোর মাধ্যমে সকলের মনোবল বেড়ে উঠবে । এর ফলে লড়াই করার উৎসাহ বাড়বে ।"
প্রদীপ-মোমবাতিতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, দাবি আয়ুর্বেদ চিকিৎসকের
5 এপ্রিল রাত ন'টা থেকে নয় মিনিটের জন্য দেশবাসীকে প্রদীপ-মোমবাতি জ্বালানোর কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । COVID-19-এর মোকাবিলায় এই উদ্যোগে কতটা উপকার পাওয়া যেতে পারে ?
কলকাতা, 5 এপ্রিল: প্রদীপ-মোমবাতি জ্বালালে নাকি বাড়বে ইমিউনিটি । মানুষের শরীর-মন ভালো থাকবে । পাশাপাশি কোরোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় সাধারণ মানুষের মধ্যে লড়াই করার মানসিকতাও বাড়িয়ে তোলা সম্ভব হবে । এমনই দাবি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের ।
5 এপ্রিল রাত ন'টা থেকে নয় মিনিটের জন্য দেশবাসীকে প্রদীপ-মোমবাতি জ্বালানোর কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । COVID-19-এর মোকাবিলায় এই উদ্যোগে কতটা উপকার পাওয়া যেতে পারে ? আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক অশোক কুমার জৈন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা উপদেষ্টা । তিনি বলছেন, "আয়ুর্বেদে আগে থেকেই বলা আছে, প্রদীপ, মোমবাতি জ্বালানো হলে দূষিত বাতাবরণ নির্মল হয়ে যায় । বাতাবরণ অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল হয়ে যায় ।" ওই চিকিৎসক আরও বলেন, "এখনও পর্যন্ত এই রকম স্টাডি নেই যে প্রদীপের আলোয় এই ভাইরাস(COVID-19)মারা যাবে । তাও প্রদীপ-মোমবাতির কাছাকাছি যে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া সেগুলি মারা যাবে । প্রদীপ-মোমবাতি জ্বলতে দেখলে মনটাও নির্মল হবে ।"
বাড়িতে থেকে অনেকেরই অবসাদ দেখা দিচ্ছে । কারণ এইসময়ে শরীর সেভাবে অ্যাকটিভ নয় । একথা জানিয়ে চিকিৎসক অশোক কুমার জৈন বলেন, "প্রদীপ-মোমবাতি জ্বলতে দেখলে মনেরও বদল হবে । আর মন নির্মল হলে শরীর ভালো থাকবে। শারীরিক, মানসিক ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়বে । তখন যে কোনও সংক্রমণের বিরুদ্ধে আপনি লড়াই করতে পারবেন । যাঁদের ইমিউনিটি ভালো তাঁদের কোরোনা সংক্রমণ হচ্ছে না।" তিনি আরও বলেন, "একটা ভালো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মানুষের শারীরিক, মানসিক পরিবর্তন হবে । এর সঙ্গে পরিবেশেও বদল আসবে ।"
COVID-19-এর প্রতিরোধের ক্ষেত্রে প্রদীপ-মোমবাতি জ্বালানোয় কতটা উপকার পাওয়া যেতে পারে ? চিকিৎসক বলছেন, "COVID-19-এর সঙ্গে প্রদীপ-মোমবাতি জ্বালানোর কোনও সম্পর্ক নেই । আয়ুর্বেদিক দিক থেকে ভাবতে হলে, প্রদীপ সব থেকে ভালো । সরষের তেল দিয়ে প্রদীপ জ্বালানো হলে ভালো । দেশি ঘি দিয়ে প্রদীপ জ্বালানো হলে খুবই ভালো ।" রাজ্যপালের আয়ুর্বেদ চিকিৎসক বলছেন, "অনেকের ক্ষেত্রে প্রদীপ জ্বালানো সম্ভব নাও হতে পারে । সেক্ষেত্রে তাঁরা মোমবাতি জ্বালাবেন ।"
কলকাতার ইনস্টিটিউট অফ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট আয়ুর্বেদিক এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের অধ্যাপক প্রদ্যোৎ বিকাশ কর মহাপাত্র । পশ্চিমবঙ্গ আয়ুর্বেদ কাউন্সিলের সহ সভাপতিও তিনি । তাঁর কথায়, "প্রদীপ-মোমবাতি জ্বালানোর এই কর্মসূচির মাধ্যমে সবাইকে একত্রিত করা যায় । সবার মধ্যে এই ধারণা তৈরি করা যে সবাই একই জিনিস করছি । এটা একটা প্রতীকী ব্যাপার হতে পারে ।" ওই চিকিৎসক আরও বলেন, "আয়ুর্বেদে বলা আছে যখন অমঙ্গল চলে তখন জনপদ ধ্বংস হয় । এটা দূর করতে কিছু মাঙ্গলিক কাজকর্ম রয়েছে । এই যে মোমবাতি-প্রদীপ জ্বলবে, এর মাধ্যমে পাপ-অধর্ম ধ্বংস হবে । অন্ধকার থেকে আলোর দিকে যাওয়ার এটা একটা উদ্দেশ্য হতে পারে । তবে প্রদীপ-মোমবাতি জ্বালানোটা প্রতীকী কর্মসূচি ।"
প্রদ্যোৎ বিকাশ কর মহাপাত্র আরও বলেন, "সবাই দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন । এই কর্মসূচির মাধ্যমে সেই দুশ্চিন্তা দূর হয়ে মনে আলোর জ্যোতি আসুক । সকলে মঙ্গলের কথা ভাবুক । পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় সকলের আশীর্বাদ নিয়ে যাওয়া হয় । তার মানে কি আশীর্বাদ না নিলে পরীক্ষার ফল ভালো হবে না ? আসলে এই আশীর্বাদ মনোবল বাড়িয়ে তোলে । প্রদীপ-মোমবাতি জ্বালানোর মাধ্যমে সকলের মনোবল বেড়ে উঠবে । এর ফলে লড়াই করার উৎসাহ বাড়বে ।"