কলকাতা, 11 জানুয়ারি: গঙ্গাসাগর মেলায় প্লাসটিক ব্যবহার রুখতে লাগাতার প্রচার চালাচ্ছে প্রশাসন বা পরিবেশ কর্মীরা ৷ পরিবেশে ও মানবদেহে প্লাসটিকের নেতিবাচক প্রভাবের বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে । তবে প্লাসটিক ব্যবহার নিয়ে প্রচার হলেও বায়ুদূষণ নিয়ে নেই বিন্দুমাত্র তৎপরতা । গঙ্গাসাগর মেলার ট্রানজিট শিবির আউট ট্রাম ঘাট চত্বর, চারদিকে জ্বলছে বড় বড় গাছের গুঁড়ি । বাতাসে মিশছে অহরহ বিষ । তবে সেসব নিয়ে ভ্রুক্ষেপ নেই কারও । দেখা নেই প্রশাসন ও পরিবেশ কর্মীদেরও । গঙ্গাসাগর মেলায় একজায়গায় পরিবেশ নিয়ে দুই ছবি প্রকট ।
প্রতি বছর আউট ট্রাম ঘাট এলাকায় গঙ্গাসাগর মেলায় আগত যাত্রীদের ট্রানজিট শিবির করা হয় । বিভিন্ন রাজ্যের হাজার হাজার পুণ্যার্থীদের সমাগম ঘটে সেখানে । অনেকেই বলেন, এটা যেন মিনি গঙ্গাসাগর হয়ে যায় তখন । সেখানে পুণ্যার্থীদের সঙ্গেই ভিড় জমান বহু সাধুসন্ত । অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় বড় বড় গাছের ডাল, গুঁড়ি 24 ঘণ্টা জ্বালিয়ে রেখে দেওয়া হয় । খোলা মাঠে বড় অংশই সেই কালো ধোঁয়ার গ্রাসে থাকে ।
সিঙ্গেল ইউজ প্লাসটিক নিষিদ্ধ হয়েছে রাজ্যে । তবে তার বাস্তবায়ন নিয়ে অধিকাংশ জায়গায় গড়িমসি আছে । গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে হাওয়া ট্রানজিট শিবিরে প্রশাসন ও বিভিন্ন সংগঠনের তরফে লাগাতার প্রচার চলছে । যাতে প্লাসটিকমুক্ত রাখা যায় শিবির এলাকা । সেখানে আসা মানুষজনকে সচেতন করার লক্ষ্যে দেওয়া হচ্ছে লিফলেট । তাতে সিঙ্গেল ইউজ প্লাসটিকের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে লেখা রয়েছে । তবে শীতের সময় মহানগর বেশি ভোগে বায়ুদূষণে । সেটা নিয়ে পরিবেশ কর্মীদের অনেক হাঁক ডাক থাকে । কিন্তু এই শিবিরে লাগাতার বড় বড় গাছের গুঁড়ি, ডাল, পাতা পড়লেও সচেতন করার কেউ নেই । চোখ বন্ধ প্রশাসনের । পাত্তা নেই পরিবেশ কর্মীদের ।
বায়ুদূষণ রুখতে কলকাতায় পরিবেশবান্ধব ওভেন দেওয়া শুরু হয়েছে । যাতে জ্বালানির ধোঁয়ায় বাতাস দূষিত না হয় । আর গঙ্গাসাগরে ব্যাপক পরিমাণে দূষণ দেখেও প্রশাসন থেকে নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সবাই নির্বিকার ।
আরও পড়ুন :