কলকাতা, 27 এপ্রিল: জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠেছে ৷ 2022 সালে ভারতে তাপপ্রবাহ প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছিল ৷ কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নতুন সমীক্ষা অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভবিষ্যতে পরিবেশ ও সমাজ উন্নয়নে যা লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে, তাতে অনেকটাই বাধা আসতে পারে ৷
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাপত্র অনুসারে, ভারতে 2022 সালের তাপপ্রবাহের ঘটনায় প্রভাব পড়েছে প্রায় 90 শতাংশ ৷ গবেষণায় অংশগ্রহণ করেছিলেন রমিত দেবনাথ, রণিতা বর্ধন এবং মিশেল এল. বেল ৷ তাঁদের বক্তব্য, জলবায়ু পরিবর্তনের তারতম্য ও তার প্রভাবের জন্য পরীক্ষামূলক কাঠামো আরও ভালো করা দরকার ৷ যদিও ভারত এই দিক থেকে অনান্য দেশের তুলনায় কিছুটা এগিয়ে রয়েছে ৷ তাপপ্রবাহ প্রশমনের ক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকা দেখে অন্যান্য প্রতিবেশী দেশ শিখতে পারে ৷ সামগ্রিকভাবে বর্তমানে জলবায়ুর পরিস্থিতি কী রকম, কতটা ভালো বা কতটা খারাপ, সেই বিষয়ে ভারতে যেভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়, তা উল্লেখ্যযোগ্য ৷ যেখান থেকে উপযুক্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করা সম্ভব ৷
আরও পড়ুন: বিকেলেই সন্ধ্যা নামল কলকাতায়, ঝেঁপে বৃষ্টি তিলোত্তমায়
ভারতের তাপপ্রবাহ সূচকের দুর্বলতার তালিকায় বাংলা রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। যা রাজ্যকে 'চরম বিপদের' মধ্যে ফেলেছে। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষা অনুসারে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাড়তে থাকা তাপপ্রবাহ সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট গোলস বা এসডিজি-লক্ষ্যমাত্রা তারতাম্য ঘটাতে পারে বা বাধার সৃষ্টি করতে পারে ৷ যদিও এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। মূলত এই তাপপ্রবাহের কারণেই শরীরে তাপসূচক বৃদ্ধি পায় ৷ যা মানুষেরও ক্ষতি সাধন করে বলে জানানো হয়েছে এই গবেষণায় ৷
1992 সাল থেকে দেশে তাপপ্রবাহে 24,000 জনের বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। অনুমান ভারতে তাপপ্রবাহের কারণে 2050 সালের মধ্যে সুস্থ মানুষের ছায়াতেও বিশ্রাম নেওয়া কষ্ঠের হয়ে দাঁড়াবে ৷ এই ধরনের পরিস্থিতি শ্রম শক্তিকে প্রভাবিত করবে। ফলে, নতুন উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করবে। তাই, গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে, দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং সুস্বাস্থ্য-সহ জলবায়ু উন্নয়নে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা কঠিন হবে। পাশাপাশি তাপপ্রবাহের কারণে তাপসূচক মানুষের শরীরে বৃদ্ধি পেলে ঘাম বেশি হতে থাকে ৷ যদি ঘাম বাষ্পীভূত হতে না পারে তবে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে বলে জানানো হয়েছে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় ৷