ETV Bharat / state

মুকুল রায়ের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা খারিজ কলকাতা হাইকোর্টের - arrest warrent of Mukul Roy

ব্যাঙ্কশাল কোর্ট মুকুল রায়ের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল ৷ সেই পরোয়ানা খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট ৷

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Aug 7, 2019, 3:30 PM IST

কলকাতা, 7 অগাস্ট : মুকুল রায়ের নামে ব্যাঙ্কশাল কোর্টের জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ তবে, নিম্ন আদালতে মামলার শুনানি চলবে ৷ আজ বিচারপতি রাজশেখর মান্থা এই নির্দেশ দেন ৷

2018 সালের 31 জুলাই বড়বাজার থানায় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে 90 লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ দায়ের হয় ৷ পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয় । পুলিশ সূত্রে খবর, চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে আসে একটাই নাম । মুকুল রায় । 29 জুলাই আদালতে সরকারি আইনজীবী জানান, বিষয়টি নিয়ে মুকুল রায়কে বারবার ডেকে পাঠিয়েছিল কলকাতা পুলিশ । মুকুল রায় সেই ডাকে সাড়া দেননি । পরে আদালতের তরফেও তাঁকে সমন পাঠানো হয় । কিন্তু তা সত্ত্বেও হাজিরা দেননি মুকুল । পালটা আদালতে মুকুলের আইনজীবী জানান, এই বিষয়ে দিল্লি হাইকোর্টে ইতিমধ্যে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে । সেই মামলায় মুকুল রায়কে 10 দিন গ্রেপ্তার করা যাবে না বলে নির্দেশ দেয় দিল্লি হাইকোর্ট ৷ পাশাপাশি নির্দেশ দেওয়া হয় মুকুল রায় চাইলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাতে পারেন ৷

দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশ মতো কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানান মুকুল রায় ৷ আজ সেই আবেদনের ভিত্তিতে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা মুকুল রায়ের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা খারিজ করে দিলেন ৷

আজ মামলার শুনানিতে মুকুল রায়ের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "2018 সালের একটি ঘটনায় আমাক মক্কেলকে সাক্ষী হিসাবে ডাকা হয়েছিল । তিনি দীর্ঘদিন ধরে দিল্লিতে থাকেন ৷ সেকথা জানিয়ে সঠিক ঠিকানায় চিঠি দেওয়ার কথা বার বার বলা হয়েছে ৷ কিন্তু তা না করে আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে একটা পরোয়ানা জারি করা হল ৷ কীসের এতো আরজেন্সি?" এর বিরুদ্ধে রাজ্যের তরফে পি পি শাশ্বত গোপাল মুখার্জি বলেন, "ওঁকে বার বার ডাকা সত্ত্বেও আসেননি ৷ তাই ওঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল নগর দায়রা আদালত । তবে, উনি তদন্তে পুলিশের সহায়তা করছেন ।"

কলকাতা, 7 অগাস্ট : মুকুল রায়ের নামে ব্যাঙ্কশাল কোর্টের জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ তবে, নিম্ন আদালতে মামলার শুনানি চলবে ৷ আজ বিচারপতি রাজশেখর মান্থা এই নির্দেশ দেন ৷

2018 সালের 31 জুলাই বড়বাজার থানায় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে 90 লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ দায়ের হয় ৷ পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয় । পুলিশ সূত্রে খবর, চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে আসে একটাই নাম । মুকুল রায় । 29 জুলাই আদালতে সরকারি আইনজীবী জানান, বিষয়টি নিয়ে মুকুল রায়কে বারবার ডেকে পাঠিয়েছিল কলকাতা পুলিশ । মুকুল রায় সেই ডাকে সাড়া দেননি । পরে আদালতের তরফেও তাঁকে সমন পাঠানো হয় । কিন্তু তা সত্ত্বেও হাজিরা দেননি মুকুল । পালটা আদালতে মুকুলের আইনজীবী জানান, এই বিষয়ে দিল্লি হাইকোর্টে ইতিমধ্যে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে । সেই মামলায় মুকুল রায়কে 10 দিন গ্রেপ্তার করা যাবে না বলে নির্দেশ দেয় দিল্লি হাইকোর্ট ৷ পাশাপাশি নির্দেশ দেওয়া হয় মুকুল রায় চাইলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাতে পারেন ৷

দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশ মতো কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানান মুকুল রায় ৷ আজ সেই আবেদনের ভিত্তিতে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা মুকুল রায়ের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা খারিজ করে দিলেন ৷

আজ মামলার শুনানিতে মুকুল রায়ের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "2018 সালের একটি ঘটনায় আমাক মক্কেলকে সাক্ষী হিসাবে ডাকা হয়েছিল । তিনি দীর্ঘদিন ধরে দিল্লিতে থাকেন ৷ সেকথা জানিয়ে সঠিক ঠিকানায় চিঠি দেওয়ার কথা বার বার বলা হয়েছে ৷ কিন্তু তা না করে আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে একটা পরোয়ানা জারি করা হল ৷ কীসের এতো আরজেন্সি?" এর বিরুদ্ধে রাজ্যের তরফে পি পি শাশ্বত গোপাল মুখার্জি বলেন, "ওঁকে বার বার ডাকা সত্ত্বেও আসেননি ৷ তাই ওঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল নগর দায়রা আদালত । তবে, উনি তদন্তে পুলিশের সহায়তা করছেন ।"

Intro:মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে নগর দায়রা আদালত যে গ্রপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলো তা খারিজ করলোহাইকোর্ট Body:
মানস নস্কর---

মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা খারিজ করলো হাইকোর্ট

কলকাতা ৭ অগাস্ট ঃ
মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে যে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল তা খারিজ করলো হাইকোর্ট।
নগর দায়রা আদালত মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতার তারি পরোয়ানা জারি করেছি। তবে ইতিমধ্যেই দিল্লী হাইকোর্ট একটা নির্দেশ দিয়েছিল যে আগামী ১০ দিন মুকুল রায়কে গ্রেফতার করতে পারবে না পুলিশ।
পাশাপাশি দিল্লী হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল মুকুল রায় চাইলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাতে পারেন। হাইকোর্ট যেহেতু জুরিসডিকশনের মধ্যে পড়ে তাই তিনি হাইকোর্টে আবেদন জানান। আজ বিচারপতি রাজশেখর মান্থা মুকুল রায়ের গ্রেপ্তারী পরোয়ানা খারিজ করে দিলেন। তবে নিম্ন আদালতে মামলাটির শুনানি চলবে।

এ ব্যাপারে মুকুল রায়ের আইনজীবী শুভাশিস দাসগুপ্ত জানালেন, গত এক বছর আগে ৩১ জুলাই ২০১৮ সালে একটা অভিযোগ দায়ের হয় বড়বাজার থানায় ৯০ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগে একজন পাবলিক সারভেন্টের কাছ থেকে।সেই অভিযোগের যখন তদন্ত চলছে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে মুকুল রায়ের কাছে একটা নোটিশ আসে, তাকে দেখা করতে বলা হয় তদন্তকারী অফিসারদের সাথে।তখন আমরা বলি যে তদন্তকারী সংস্থা লোকাল থানায় ডেকে পাঠাতে পারেনা।কারন আইন অনুয়ায়ী যে থানার মধ্যে উনি পড়েন তার বাইরে থাকলে কোর্টের মাধ্যমে তাকে নোটিশ পাঠাতে হয়।সেটা তদন্তকারী সংস্থা মানে নি।আবার ফেব্রুয়ারি ২০১৯ এ তদন্তকারী সংস্থা একটা অভিযোগ দায়ের করেন ব্যাংশাল কোর্টে। এর বিরুদ্ধে দিল্লী হাইকোর্টে গেলাম আমরা। মুকুল রায়ের বয়স ৬৫ বছর। আইন অনুয়ায়ী এই বয়সী কাউকে নোটিশ পাঠাতে হলে তার বাড়িতে বা সুবিধাজনক জায়গায় পাঠাতে হয় বলে আমারা ১৮ জুলাই জানাই।ইতিমধ্যে গত দুদিনের মধ্যে একটা নোটিশ আসে যে দিল্লীতে গিয়েই মুকুল বাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।সেই মর্মে আমরা জবাব দি।কারন আমরা সব সময় বলেছি তদন্তে সহায়তা করবো।আজকে মামলাটির শুনানি ছিল ব্যাংশাল আদালতে।সেখানে আমরা সমস্ত কিছু জানাই।পাশাপাশি দিল্লীতে আগামীকাল সকালে মামলাটির শুনানি রয়েছে সেটাও জানাই।কিন্ত আদালত বলে যেহেতু বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে বিচারাধীন রয়েছে তাই একটা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হচ্ছে।তবে ১ অগাস্ট সকালে দিল্লী হাইকোর্টে বিষয়টির শুনানি ছিল।Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.