কলকাতা, 23 অগস্ট: উচ্চপ্রাথমিকে (Upper Primary Recruitment) কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা বিষয়ে বেশি নম্বর থাকা সত্বেও কেন চাকরি দেওয়া হয়নি ? চার সপ্তাহের মধ্যেই স্কুল সার্ভিস কমিশনকে (School Service Commission) উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আজ এই নির্দেশ দিয়েছেন ।
2016 সালের পরীক্ষার ভিত্তিতে উচ্চপ্রাথমিকে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা বিষয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে 2019 সালে । কিন্তু তিনি কেন সফল হতে পারেননি, সেটা জানতে আরটিআই করেছিলেন চাকরিপ্রার্থী আতিউর রহমান । আরটিআই-এর যে উত্তর তিনি পান তাতে দেখেন, শেষ যে প্রার্থী চাকরিতে নিযুক্ত হয়েছেন তিনি আতিউরের থেকে প্রায় 9 নম্বর কম পেয়েছেন । স্কুল সার্ভিস কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আতিউর রহমান ।
মামলার শুনানিতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে বলা হয়, 2016 সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া 2019 সালে সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে । নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর আরটিআই করেছেন চাকরিপ্রার্থী । কিন্তু মামলাকারীর তরফে আইনজীবী বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগেই তাঁরা আরটিআই করেছিলেন ৷ কিন্তু তার জবাব দিতে অনেক দেরি করে স্কুল সার্ভিস কমিশন ।
আরও পড়ুন: Sajal Ghosh Arrest Case : পুলিশের অতি সক্রিয়তা, তদন্তের দাবি করে হাইকোর্টে মামলা সজলের স্ত্রীর
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সব শোনার পর স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দেন, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ওই প্রার্থীকে ডেকে তার সমস্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখতে হবে ৷ তিনি যদি যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হন, তাহলে অবিলম্বে তাঁকে চাকরি দিতে হবে ।
আরও পড়ুন: Tarpaulins Theft Case : হাইকোর্টে ত্রিপল চুরি মামলায় শুনানি শেষ, রায়দান স্থগিত
এ ব্যাপারে আতিউর রহমানের আইনজীবী আলি আহসান আলমগির বলেন, "স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় 55 নম্বরের লিখিত পরীক্ষা, 35 নম্বরের অ্যাকাডেমিক স্কোর এবং 10 নম্বরের ইন্টারভিউ ছিল । আরটিআই করে দেখা যায়, আতিউর রহমান লিখিত পরীক্ষায় 55-র মধ্যে পেয়েছেন 40 নম্বর । অ্যাক্যাডেমিক স্কোরে তিনি 35 এর মধ্যে 35-ই পাবেন, তার কারণ সমস্ত পরীক্ষাতেই সে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ । তার মানে 35 ও 40 যোগ করলে হয় 75 নম্বর । 2016 সালের পরীক্ষার ভিত্তিতে 2019-এ যে প্রার্থীরা নিযুক্ত হয়েছেন, সেখানে শেষ যে প্রার্থীকে চাকরিতে নিযুক্ত করা হয়েছে, তার নম্বর 66 । তার অর্থ, 9 নম্বর বেশি থাকা সত্বেও আতিউর রহমান চাকরি পাননি ।"
আরও পড়ুন: ত্রিপল চুরি মামলায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তদন্তে স্থগিতাদেশ দিল না কলকাতা হাইকোর্ট