কলকাতা, 5 জানুয়ারি: প্রাথমিকে আরও 59 জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তে অনড় থাকলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) । প্রথমে 53, গতকাল 150, এর পর আজ, বৃহস্পতিবার 59 জনের চাকরি বাতিল ও বেতন বন্ধের নির্দেশ বহাল রাখলেন বিচারপতি ।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, প্রাথমিকে 268 জনের চাকরি বাতিল এবং বেতন বন্ধের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় । সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যান 268 জন প্রার্থী । হলফনামা দাখিল এবং নিজেদের বক্তব্য পেশ করার জন্য 268 জনকে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট ।
দফায় দফায় 268 জন প্রার্থী হলফনামা জমা করেন হাইকোর্টে । প্রথমে 54 জন প্রার্থী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন । তাঁদের মধ্যে 53 জনের চাকরি বাতিল করেন বিচারপতি । গতকাল 150 জনের চাকরি বাতিল ও বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ।
সব থেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় যে সমস্ত প্রার্থীর চাকরি বাতিল করেছেন বিচারপতি, তাঁদের মধ্যে দু-একজন ছাড়া আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য এবং আদালতে জোরালো সওয়াল করার জন্য কোনও আইনজীবী পর্যন্ত নিযুক্ত করেননি । দু-তিন জন বাদে প্রায় সবাই বেআইনি ভাবেই যে নিযুক্ত হয়েছিলেন, নিজেরাই তা স্বীকার করে নিয়েছেন । বেশিরভাগ প্রার্থীকে একটি ফোন নম্বর থেকে এসএমএস করে চাকরির সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছিল । যা পরে সম্পূর্ণ ভুয়ো বলে দেখা যায় ।
উল্লেখ্য, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় গ্রুপ-ডি, গ্রুপ-সি, উচ্চ প্রাথমিক-সহ নবম ও দশমে মিলিয়ে কয়েক হাজার জনের চাকরি বাতিল করেছেন ।
প্রসঙ্গত, 2014 সালের টেটের (TET 2014) ভিত্তিতে প্রাথমিক স্কুলগুলিতে যে নিয়োগ হয়েছিল, তা নিয়ে বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে (Primary Recruitment Scam) ৷ সেই নিয়ে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে ৷ সেই মামলার শুনানি যেমন একদিকে চলছে, তেমনই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই দুর্নীতিতে চলছে সিবিআই (CBI) তদন্ত ৷ এই দুর্নীতিতে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি রয়েছে বলে তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও ৷ ইতিমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ ইডি (ED) তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে ৷
আরও পড়ুন: 102 পদে নিয়োগের জন্য যোগ্য প্রার্থীই নেই ! আদালতে জানাল এসএসসি