কলকাতা, 16 অগস্ট: কুকড়াহাটিতে বিজেপিকে বোর্ড গঠনে বাধা ও সদস্যকে অপহরণের অভিযোগে মামলা কলকাতা হাইকোর্টে। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে তদন্তে সরাসরি নজরদারির নির্দেশ দিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত । বুধবার সরকারি কৌশলিকে বিচারপতি সাফ বলেন, "যেভাবে হোক অভিযুক্তদের ধরার ব্যবস্থা করতে বলুন পুলিশকে ।" বিচারপতি সেনগুপ্ত নির্দেশ দেন, আগামী 22 অগস্ট শুনানিতে তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট ও কেস ডায়েরি হাজির করতে হবে আদালতে । বিচারপতির হুঁশিয়ারি, নির্দেশ কার্যকর ও তদন্তের অগ্রগতি না-হলে আগামী শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্ট পদক্ষেপ করবে ।
পূর্ব মেদিনীপুরের সুতাহাটা ব্লকের কুকড়াহাটি থানা এলাকায় 10 অগস্ট বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠভাবে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের কথা ছিল । কিন্তু বোর্ড গঠনের দিন বিজেপি সদস্য পলাশ প্রামাণিককে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে । ফলে সেদিন বোর্ড গঠন হয়নি । এছাড়া সেদিন দুষ্কৃতীরা তাঁকে মারধর ও তাঁর শ্লীলতাহানি করে বলেও অভিযোগ। এই ঘটনায় পুলিশের দ্বারস্থ হয় পলাশের পরিবার ৷ তবে অভিযোগ, ঘটনায় কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি । দুষ্কৃতীরা এখনও এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে । তাই বোর্ড গঠনের জন্য কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হোক । বুধবার এমন আর্জি জানানো হয় কলকাতা হাইকোর্টে ৷ আদালত আগামিদিনে বিষয়টি বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি সেনগুপ্ত ।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন নিয়ে অশান্ত সুতাহাটা, বিজেপি সদস্যকে অপহরণ
রাজ্যের তরফে বুধবার বলা হয়, তিনটে এফআইআর করা হয়েছে । পলাশ প্রামাণিক নিখোঁজ থাকলেও তিনি পরে ফিরে এসেছেন । বোর্ড গঠনের গোটা প্রক্রিয়া ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়েছে । পলাশ কোনও আত্মীয়ের বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন । পরে ফিরে আসেন। 164-তে সাক্ষীদের বয়ান নেওয়া হয়েছে । ঘটনার পর অপহৃতের বাবা সুতাহাটা থানায় যে অভিযোগ করেন সেটা ধরেই পুলিশ এইআইআর করে । সবপক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত মঙ্গলবারের শুনানিতে তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট ও কেস ডায়েরি পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন ।