কলকাতা, 13 অক্টোবর: আইআইটি খড়গপুরে ছাত্র মৃত্যু মামলায় মঙ্গলবার সিটের তদন্ত রিপোর্ট চায় কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার সরকারি আইনজীবী শুনানিতে হাজির না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। ফলে আইআইটি খড়গপুরের ছাত্র মৃত্যুর মামলার শুনানি এগোলো না। মঙ্গলবার সিটের প্রধান পুলিশ আধিকারিক জয়রামনের তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট চেয়ে পাঠালেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
পরিবার পক্ষের আইনজীবী এদিন আদালতে অভিযোগ করে জানান, অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেলকে আদালতের নির্দেশে শুনানিতে হাজির থাকতে বলা হলেও এদিন তিনি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সরকারি অন্য কোনও আইনজীবী এই মামলার দায়িত্ব নিতে চাইছেন না। তিনি শুনানিতে আরও বলেন, "সিটের প্রধান জয়রমনকে রাজ্য এই তদন্তের জন্য ছাড়ছে না বলে আমরা শুনেছি।"
দু'পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে বিচারপতি জানতে চান, "সরকারি কৌশলি সম্রাট সেন কোথায় ? রাজ্যের বক্তব্যও শোনা দরকার। মঙ্গলবার রাজ্যকে তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট দিতে হবে।" এইসময় একজন জুনিয়র সরকারি আইনজীবী এসে মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করেন। অন্যদিকে আইআইটি খড়গপুরের তরফে আইনজীবী বলেন, "এই মামলার রিপোর্ট নেওয়ার কোনও জায়গা নেই আদালতের। আমাদের সওয়াল করতে দেওয়া হোক।"
যদিও শেষ পর্যন্ত বিচারপতি বলেন, "মঙ্গলবার আগে পুলিশের রিপোর্ট দেখতে হবে। আদালত মৃতের পরিবারের আবেদনে আগে সাড়া দেবে। আইআইটি কিছু বলতে চাইলে পরে সময় দেওয়া হবে। কিন্তু যাদের ছেলে মারা গিয়েছে, তাদের কষ্ট কিছুটা লাঘব হোক আদালত আগে সেটা চায়।" উল্লেখ্য আইআইটির ছাত্র মৃত্যুর মামলায় বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার সিঙ্গেল বেঞ্চ সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে আইআইটি এবং রাজ্য সরকার এই নির্দেশের বিরুদ্ধে আপিল করলেও প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ কার্যত সেই নির্দেশই বহাল রাখে। কিন্তু তদন্তের ব্যাপারে রাজ্য কোথাও অসহযোগিতা করছে বলেই মনে করছে মৃত ছাত্রের পরিবার।
আরও পড়ুন: আদালতের নির্দেশের অবমাননা, রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টের
অন্যদিকে, ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় দেশের অন্যতম নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইআইটি খড়গপুরের নাম বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ । প্রধান বিচারপতি টিএস শিবাজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চে মামলা রুজু হয়েছে ৷ বিষয়টি 16 অগস্ট শোনার আশ্বাস দিয়েছেন বিচারপতিরা ।