কলকাতা, 11 অক্টোবর: গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের পদ আদিবাসী সংরক্ষিত ৷ কিন্তু আদিবাসী কোনও জয়ী সদস্য না থাকায় বোর্ড গড়তে পারছে না তৃণমূল ৷ তাই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে সাধারণ কোনও জয়ী সদস্য়কে প্রধান পদে বসার অনুমতি চেয়েছিল রাজ্যের শাসক দল ৷ কিন্তু বুধবার তৃণমূলের ওই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা ৷ তাঁর নির্দেশ, ‘‘কোনও সংরক্ষিত পদের জন্য একজনও যদি যোগ্য প্রার্থী থাকেন, তা হলে তাঁকেই ওই পদে বসাতে হবে ।’’
পূর্ব বর্ধমানের রায়না-1 ব্লকের নাড়ুগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়ী তৃণমূল প্রার্থীরা এই আবেদন করেন ৷ ওই পঞ্চায়েতে 22টি আসন ৷ আদিবাসী সংরক্ষিত আসনে জিতেছেন কংগ্রেসের মিনতি মান্ডি ৷ এছাড়া সিপিএম তিনটি আসনে জিতেছে ৷ 18টি আসনে জিতেছে তৃণমূল ৷ ওই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের জন্য 12টি আসনে জয়ই যথেষ্ট ৷ শাসক দল তার থেকেও ছ’টি বেশি আসনে জিতেছে ৷
তার পরও তারা ওই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করতে পারছে না ৷ কারণ, তৃণমূলের কোনও আদিবাসী প্রার্থী জেতেনি ৷ আদালত সূত্রে খবর, তৃণমূল মামলা দায়ের করে ওই প্রধান পদ সংরক্ষণের আওতার বাইরে আনার জন্য আবেদন করে ৷ বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে শুনানি হয় ৷
হাইকোর্টের বক্তব্য যেহেতু পদটি সংরক্ষিত এবং একজন যোগ্য প্রার্থী ভোটে জিতে এসেছেন, ফলে তাঁকেই বসাতে হবে প্রধান পদে । এখানে তিনি হেরে যাওয়া দলের প্রার্থী কি না, তা বড় কথা নয় । যদি এখন আপত্তি করা হয় তাঁকে ওই পদে বসাতে, তাহলে সংরক্ষণের যৌক্তিকতা নষ্ট হবে বলে পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের ।
আদালতের মামলাকারীদের নির্দেশ, নাগরিক ভোটে প্রত্যেকে জয় পেয়েছেন ৷ সেখানে ভিন্ন কোনও দলের পরিচয় নয় সকলে একত্রে কাজ করার ব্রত নিক । আর যদি পূর্ব বর্ধমানের নাড়ুগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের এই প্রধানের কাজকর্মে আপত্তি থাকে, তাহলে এক বছর পরে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের সুযোগ তো রয়েছে ।
আরও পড়ুন: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ খারিজ ডিভিশন বেঞ্চে, পুনর্বহাল যোগেশচন্দ্র ল কলেজের অধ্যক্ষ