কলকাতা, 17 মার্চ: আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকীর (Nawsad Siddique) গ্রেফতারের পর রাজ্যে প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছিল। তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ভাঙড় কাশীপুর অঞ্চলে সিপিআইএম ও আইএসএফ বারবার মিছিল করতে চাইলেও তাতে অনুমতি দেয়নি পুলিশ ৷ উলটে এলাকায় 144 ধারা জারি করা হয়েছিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে । দুই রাজনৈতিক দলই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল মিছিল করার দাবিতে। সেই মামলাতেই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Calcutta High Court) ৷
বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, এখন থেকে যাবতীয় মিছিলের আবেদন জেলার এসপি বা কমিশনারেটে সিপির অফিসে করতে হবে। এতদিন থানায় করা হত। অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে পুলিশ কোনও বৈষম্য করবে না সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সেখানে কোনও দল কখন আবেদন জমা দিল তা লিখিত রাখার জন্য আলাদা রেজিস্ট্রার রাখতে হবে। ক্রমিক সংখ্যা ধরে সেইসব আবেদন বিবেচনা করে অনুমতি দেবে পুলিশ। কতজন যোগ দিতে পারে তার সংখ্যা, কোথায় করতে চায় সেই জায়গা বা মিছিলের রুট জানতে হবে পুলিশকে।
আরও পড়ুন: স্কুল সার্ভিস কমিশনের 17 নং ধারা বাতিলের দাবিতে মামলা হাইকোর্টে
স্থানীয় থানা নিশ্চিত করবে, কোনওভাবে সেসব মিছিল বা সভা নিয়ে কোনও অশান্তি যেন না হয়। বাইরের কোনও লোক গোলমাল না-করতে পারে। শব্দবিধি মেনে মাইক বাজবে। সেই আবেদনের রেজিস্ট্রার যাতে অনলাইনে দেখা যায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে জেলাগুলিতে। পাশাপাশি ভাঙড়ে সিপিএমের সভা করা নিয়ে জট কাটল। আগামী 28 মার্চ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হলেই মিছিল বা সভার অনুমতি দেওয়া নিয়ে আপত্তি নেই পুলিশের সে কথা তারা বিচারপতি মান্থার আদালতে এদিন জানিয়ে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, 21 জানুয়ারি আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ধর্মতলার রানি রাসমণিতে জমায়েত ও মিছিল করে রাজনৈতিক দলটি। অভিযোগ, ওইদিন মিছিল থেকে পুলিশকে মারার উস্কানি দেওয়া হয়েছিল। সেই জন্য আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকী-সহ মোট 88 জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে হাইকোর্ট থেকে তাঁরা জামিন পান।