কলকাতা, 30 নভেম্বর: আগামী 8 ডিসেম্বরের মধ্যে পুরুলিয়ার ঝালদা পৌরসভায় আস্থা ভোট করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট । পুরুলিয়ার জেলাশাসকের উপস্থিতিতে আস্থা ভোট করে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট 12 ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে দিতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা ৷ তাছাড়া এই মামলায় আদালতের পর্যবেক্ষণ, তার মাঝে পৌরসভা যেমন চলছে, তেমনই চলবে ।
ঝালদা পৌরসভার চেয়ারপার্সন শীলা চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণ চেয়ে জোড়া মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে । একটি মামলা দায়ের করেন কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু-সহ আরেক কংগ্রেস কাউন্সিলর । এছাড়া পাঁচজন তৃণমূল কাউন্সিলরও এই নিয়ে আলাদা মামলা করেছেন ৷ সেই মামলা দু’টির প্রেক্ষিতেই এ দিন হাইকোর্ট আস্থা ভোটের নির্দেশ দিয়েছে ৷
ঝালদা পৌরসভা গঠনের শুরু থেকে শাসক দল তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্যে অশান্তি লেগেই রয়েছে । এর মধ্যে নির্দল প্রার্থী হিসেবে পৌরসভার চেয়ারপার্সন হন শীলা চট্টোপাধ্যায় । চলতি বছরের 20 জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্ট এক নির্দেশে শীলা চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দুকে ঝালদা পৌরসভার চেয়ারপার্সন করার নির্দেশ দেয় ।
সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেয় এবং আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শীলা চট্টোপাধ্যায়কেই পুরসভার চেয়ারপার্সন হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে নির্দেশ দেন ।
অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে শীলা চট্টোপাধ্যায় চেয়াপার্সন হিসাবে কাজ করলেও পৌরসভার উন্নয়ন সেভাবে হচ্ছে না ৷ নির্দল প্রার্থী চেয়াপার্সন হওয়ার জন্য রাজ্যের শাসকদল ঝালদা পৌরসভাকে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছে ৷ এই নিয়ে আগেও কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয় ৷ তার পর আবার শীলা চট্টোপাধ্যায়কে তাঁর পদ থেকেই সরানোর দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় শাসক দল ও কংগ্রেস দু’দলই । ঝালদা পৌরসভায় 12 জন কাউন্সিলর৷ এখন যা পরিস্থিতিতে, তাতে সাতজন পৌর প্রতিনিধিই চেয়ারপার্সনের সরানোর দাবিতে মামলা করেছেন ৷
আরও পড়ুন: