কলকাতা, 7 অগস্ট: এবার থেকে জাতীয় সড়কে এক থেকে দু'কিলোমিটার অন্তর আর ব্যারিকেড দেওয়া যাবে না । একটি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার এমনই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ । আদালত জাতীয় সড়ক নিয়ে নির্দেশে বলেছে, এই ব্যাপারে রাজ্য ও কেন্দ্রকে আলোচনা করতে হবে এবং আলোচনার পর অবিলম্বে এক থেকে দু'কিলোমিটার অন্তর ব্যারিকেড দেওয়া বন্ধ করার ব্যবস্থা করতে হবে । প্রয়োজনে রাস্তার নীচ দিয়ে আণ্ডারপাশ বানাতে হবে । অথবা ফ্লাইওভার বানিয়ে লোকজন পারাপারের ব্যাবস্থা করতে হবে ।
হাইকোর্ট জানিয়েছে, এইভাবে ব্যারিকেড দেওয়া জাতীয় সড়ক আইনের পরিপন্থী । এছাড়া বারাসত থেকে কৃষ্ণনগরের মধ্যে রাস্তা তৈরির জন্য ফ্লাইএস (রাস্তার কাজে ব্যবহৃত কালো পাথর) 26 জুলাইয়ের মধ্যে এনটিপিসি দেবে বলেও দেয়নি । এ ব্যাপারে কি ব্যবস্থা নেওয়া হল এনটিপিসির চেয়ারম্যানকে 11 সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । পাশাপাশি আমডাঙা(17 কিলোমিটার) ও জলপাইগুড়ি বেনাগুড়ি (5 কিলো ) এই দুটো জায়গায় মোট 22 কিলোমিটার রাস্তা করার অনুমতি পাওয়া গিয়েছে । জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে রাস্তার কাজ শুরু করতে হবে অবিলম্বে । এ ব্যাপারে জেলাশাসককে প্রয়োজন জমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত বিষয় দেখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ যাতে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে রাস্তার কাজ এগনো যায় ।
আরও পড়ুন: ধর্মতলায় মাল্টি মডেল বাস টার্মিনাস বানানোর পরিকল্পনা রয়েছে, হাইকোর্টে জানাল রাজ্য
এ দিন জনস্বার্থ মামলাকারী আইনজীবী কল্যাণ চক্রবর্তী আদালতে জানান, বারাসত থেকে কৃষ্ণনগর রাস্তা তৈরিতে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ করা উচিত । যাতে পুজোর ছুটির আগে কাজ শেষ হয় । এ ব্যাপার যেন আদালত হস্তক্ষেপ করে । পাশাপাশি বারাসত থেকে আলিপুরদুয়ার পর্যন্ত এক কিলোমিটার থেকে দু'কিলোমিটার অন্তর ব্যারিকেড দিয়ে প্রশাসন সাধারণ মানুষের পারাপার করার সুযোগ করে দিচ্ছে । কিন্তু জাতীয় সড়কে এই সুযোগ নেই । এটা বেআইনিভাবে করা হচ্ছে । হয় রাস্তার নীচ দিয়ে অথবা উপর দিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে । প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য প্রশাসনকে অবিলম্বে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে ।