কলকাতা, 5 জুলাই: আনিসুর রহমানকে প্যারোলে মুক্তির নির্দেশে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করল কলকাতা হাইকোর্ট । বৃহস্পতিবার দুপুরে এই মামলার শুনানি পর্যন্ত আনিসুরকে বাড়ির মধ্যে থাকতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত । 4 থেকে 9 জুলাই তাঁকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয় । যদি এই সময়ের মধ্যে তিনি বাড়ি থেকে বাইরে যান তাঁর ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে । মৃতের দাদা-সহ পরিবারকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের ।
একইসঙ্গে বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, রাজ্যকে কালকের মধ্যে জানাতে হবে কোন পরিপ্রেক্ষিতে প্যারোলের আবেদনে অনুমতি দেওয়া হল । যেখানে আজকেই নিম্ন আদালতে ওই মামলার ট্রায়াল ছিল । 36টা মামলার সঙ্গে কুরবান শা খুনে অভিযুক্ত আনিসুর রহমান । 26 ফেব্রুয়ারি 2021 সালে রাজ্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে তাঁর বিরুদ্ধে সব মামলা তুলে নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় । হাইকোর্ট সেই নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে । কলকাতা হাইকোর্ট পাঁচবার তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করেছে । 2019 সালে কুরবান শাকে খুন করা হয় । প্রথমে আফজাল শা মামলা করলেও পরে তাঁকে ভয় দেখানোয় তিনি মামলা প্রত্যাহার করেন । পরে মৃতের দাদা জহর শা মামলা করেন ।
এর আগে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ তাঁর জামিন খারিজ করে দেন ৷ আনিসুরকে রাজ্যের মদত দেওয়ার অভিযোগ আনে মামলাকারী । জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে যাওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আনিসুর ৷ সুপ্রিম কোর্ট সিটি সেশন কোর্টের চিফ জাজকেই এই ট্রায়াল মামলার বিচারের নির্দেশ দেয় । অথচ 3 জুন তাঁর আবেদনের পরেই ডিজির অনুমতি আসায় তাঁকে প্যারোলে ছেড়ে দেওয়া হয় । সেই অনুমতি দেন আইজি কারা । যিনি নিজে একজন আইপিএস অফিসার । আইজি কারার বিরুদ্ধে কেন পদক্ষেপ হবে না? কারা দফতরের থেকে জবাব চাওয়া হোক ৷ একদিনে এমন আর্জিতে কতজনের প্যারোলের বিবেচনা করা হয়েছে ৷ এমনটাই দাবি জানান মামলাকারী ।
আরও পড়ুন: আদালতের নির্দেশ ছাড়া মুক্তি নয় আনিসুর রহমানের
রাজ্যের তরফে সরকারি কৌসুলি অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আনিসুরের মায়ের অসুস্থতার জন্য প্যারোল দেওয়ায় আপত্তি করেনি মামলাকারী ।" বিচারপতি নির্দেশে বলেন, "একইদিনে আবেদন, আবার সেদিনই আবেদন গৃহীত ! এটা একটু বেশিই তাড়াতাড়ি । প্যারোল পাওয়া উচিত বা অনুচিত কি না, তার থেকে বড় কথা এর আগে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের একাধিক রায়ের স্পিরিট মাথায় রেখে এই কোর্ট সেটাই গুরুত্ব দিচ্ছে ।"