কলকাতা, 20 ফেব্রুয়ারি: শর্ত সাপেক্ষে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ শ্যামল আদকের (Shyamal Adak) জামিন মঞ্জুর করল হাইকোর্ট। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্ত'র ডিভিশন বেঞ্চ (HC on Shyamal Adak)। শ্যামলের তরফে আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য সোমবার তাঁর জামিনের আর্জি জানান। তিনি বলেন, "শ্যামল এখনও জেলে রয়েছেন ৷ আর তা 72 দিন হয়ে গেল ৷ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়ের জন্য মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন। তাঁকে জামিন দেওয়া উচিত।"
অন্যদিকে, রাজ্যের অভিযোগ তিনি বেআইনিভাবে পৌরসভার টেন্ডারে দুর্নীতি করেছেন 2018 ও 2020 সালে । বেআইনিভাবে দোকান পাইয়ে দিয়ে টাকা নিয়েছেন তিনি ৷ বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, "তাঁর পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছে না-আদালত।" সেই জন্য 25 হাজার টাকার ব্যাক্তিগত বন্ডে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ। শ্যামল আদক হলদিয়া পৌরসভা অঞ্চলে ঢুকতে পারবেন না পরবর্তী নির্দেশ না-দেওয়া পর্যন্ত। সপ্তাহে একদিন স্থানীয় সুতাহাটা থানায় হাজিরা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ৷
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ পুলিশকে তাঁকে জেল হেফাজতেই জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। টেন্ডার দুর্নীতির মামলায় গত 11 ডিসেম্বর হলদিয়া পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ শ্যামল আদককে গ্রেফতার করেছিল সুতাহাটা থানার পুলিশ। সুতাহাটা থানা পৌরসভার একটি টেন্ডার দুর্নীতির মামলায় একজন কাউন্সিলর-সহ মোট তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল। সেই একই মামলায় শ্যামল আদকও গ্রেফতার হয়েছিলেন। 72 দিন পর এদিন তাঁর জামিন মঞ্জুর করল হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ শ্যামল আদককে চলতি সপ্তাহেই জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ হাইকোর্টের
হলদিয়া পৌরসভায় চেয়ারম্যান থাকাকালীন লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি করেছেন শ্যামল আদক বলে অভিযোগ ওঠে। 2022 সালের 29 সেপ্টেম্বর হলদিয়ার আজাদ হিন্দনগরের এক নির্মাণ সংস্থার মালিক প্রতারণার অভিযোগ তুলে হলদিয়ার ভবানীপুর থানায় এফআইআর করেন। তাঁর সংস্থার সই জাল করে শ্যামল আদক নিজের কোম্পানির নামে 86 লক্ষ 29 হাজার টাকা মূল্যের ক্রেডেনসিয়াল তৈরি করেছিলেন বলে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে টেন্ডার দুর্নীতির তথ্য উঠে আসে। এরপরই হলদিয়া পৌরসভার টেন্ডার সংক্রান্ত দেড় হাজার ফাইল পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে।