কলকাতা, 7 অগস্ট: কলকাতার রাস্তায় ঐতিহ্যময় ট্রাম ধরে রাখতে, একটি কমিটি গঠন করল কলকাতা হাইকোর্ট। মূলত, কীভাবে শহর তিলোত্তমার বুকে ট্রামকে রক্ষা করা যায়, তারই পরিকল্পনা করবে এই কমিটি ৷ পরিবহণ দফতরের এমডি-র নেতৃত্বে এই কমিটি দু'সপ্তাহের মধ্যেই প্রথম বৈঠক করবে বলে জানা গিয়েছে। ওই বৈঠকের মধ্য দিয়ে কী কী পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তা জানাতে হবে আদালতে। কমিটি আগামিদিনে কাজের গতি বাড়াতে ও প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের এই কাজে যুক্ত করতে পারবে।
সুলগ্না মুখোপাধ্যায়-সহ আরও একজন কলকাতার ঐতিহ্যময় ও গৌরবময় ট্রাম বাঁচাতে হাইকোর্টে দু'টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন ৷ এর আগের শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ট্রামকে কলকাতার ঐতিহ্য এবং সেটিকে সংরক্ষণ করতে রাজ্য সরকারের তৎপরতা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছিলেন। এরপরেই প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ কলকাতার ট্রাম বাঁচাতে কমিটি গঠনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। সেই মতো সোমবার একট কমিটি গঠন করল কলকাতা হাইকোর্ট ৷
পাশাপাশি, জুন মাসে শুনানিতে কলকাতার ট্রাম কোম্পানিকে তাদের সম্পত্তি বিক্রির উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল আদালত। এদিন সেই নির্দেশ বজায় রেখে বিচারপতি জানিয়েছেন, ট্রামের সম্পত্তি দীর্ঘকালীন লিজও দেওয়া যাবে না হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া।
মামলাকারী আরটিআই করে বর্তমানে ট্রামের গতিবিধি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন ৷ রাজ্য রিপোর্টে জানিয়েছে, 116.62 কিলোমিটার ট্রাম লাইন রয়েছে। তার মধ্যে 33 কিলোমিটার লাইনে ট্রাম চলে। মাত্র তিনটি রুটে এখন ট্রাম চলে। 6টি ট্রাম ডিপো রয়েছে। সব গুলোই শহরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়। এখন দু'টি মাত্র ডিপো কার্যকরী রয়েছে। বেলগাছিয়া আর টালিগঞ্জ ডিপোর জায়গা বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বেসরকারি সংস্থাকে। সেখানে প্রোমোটিং হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথম জামিন মানিক ভট্টাচার্যর স্ত্রী শতরূপাকে
বিক্রির কারণ হিসাবে বলা হয়েছে ভিআরএস নেওয়া কর্মচারীদের বকেয়া মেটাতে, ট্রামের লোনের টাকা শোধ করতে ও ইলেকট্রিক বাস কেনার জন্য ট্রাম ডিপো বেসরকারি সংস্থাকে বিক্রি করা হয়েছে ৷ এখানেই মামলাকারীরা সওয়াল তোলেন, ট্রামের জায়গা নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে ভাবা উচিত ৷ সরকারি জায়গা সরকারি কোনও অফিসের কাজে ব্যবহার করা উচিত।