কলকাতা, 10 মার্চ: মহার্ঘভাতার দাবিতে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনে নেমেছে বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী সংগঠন ৷ সেই আন্দোলনে সামিল কলকাতা হাইকোর্টের কর্মচারীরাও ৷ বৃহস্পতিবার সকালে আদালতের মূল প্রবেশদ্বার আটকে সরকার-বিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষুব্ধ কর্মীরা ৷ রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা তৃণমূল সরকারের মহার্ঘভাতা বঞ্চনার প্রতিবাদে কাজে অংশগ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছেন ৷ অংশ নিয়েছেন আদালতের ক্লার্ক থেকে শুরু করে সব শ্রেণির কর্মচারীরা ৷ ফলে স্বাভাবিক ভাবে আজ দিনভর সব কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গিয়েছে (No hearing process in Calcutta High Court as DA Agitation going on) ৷
হাইকোর্টের বেশিরভাগ এজলাসে কর্মচারীরা না-থাকায় শুনানি প্রক্রিয়া চালাতে পারছেন না বিচারপতিরা ৷ কারণ নির্দেশনামা লেখা থেকে শুরু করে ফাইলপত্র এগিয়ে দেওয়ার জন্য কোনও কর্মী হাজির নেই ৷ তাই বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের এজলাসে বিচারপতিরা উপস্থিত থাকলেও মামলার শুনানি করতে পারেননি ৷
এদিন সকালেই হাইকোর্টের মূল প্রবেশদ্বারের সামনে কর্মচারীদের রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দেখা গেল ৷ কিন্তু পুলিশ সেখানে কোনও ভাবে বিঘ্ন ঘটায়নি ৷ অবশ্য হাইকোর্টের মূল ভবনের ভিতরে হাইকোর্টের কর্মচারী ছাড়া বাইরের কাউকে আজ প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ "শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতিবাজ, মহার্ঘভাতা চুরির সরকার আর নেই দরকার"- এর মতো স্লোগানও শোনা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ডিএ নিয়ে ধর্মঘটের দিন অফিসে আসার হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতার
আন্দোলনে সামিল রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির এক সদস্য জানালেন, হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও মহার্ঘভাতা মেটানো হচ্ছে না ৷ অবিলম্বে বকেয়া মহার্ঘভাতা মেটাতে হবে সরকারকে ৷ পাশাপাশি স্বচ্ছতার সঙ্গে অস্থায়ী কর্মচারীদের নিয়োগ ও শূন্যপদে কর্মচারী নিয়োগ করতে হবে ৷ বিভাজনের রাজনীতি বন্ধ করে রাজ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাও করতে হবে ৷ উল্লেখ্য, এদিন রাজ্যে সব ক্ষেত্রের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা আন্দোলনে সামিল হয়েছেন ৷ তাঁরা কর্মক্ষেত্রে এলেও কর্ম বিরতি পালন করছেন বলে জানা গিয়েছে ৷ রাজ্য সরকার যদি অবিলম্বে মহার্ঘভাতা না মেটায় তাহলে লাগাতার আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ৷