ETV Bharat / state

প্রাথমিক TET-এর ভুল প্রশ্ন মামলায় দ্রুত নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রাথমিক TET-এর ভুল প্রশ্ন মামলায় তিন মাসের মধ্যে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট ৷ কিন্তু, তারপরে এক বছর কেটে গেছে ৷ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে দ্রুত নিয়োগের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট ৷

হাইকোর্ট
author img

By

Published : Sep 19, 2019, 6:17 PM IST

কলকাতা, 19 সেপ্টেম্বর : তিন মাসের মধ্যে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ কিন্তু, তারপর এক বছরের বেশি কেটে গেলেও থমকে রয়েছে প্রাথমিক TET-এর নিয়োগ পরীক্ষা ৷ আজ ফের দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় ৷ এছাড়াও 26 সেপ্টেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচিকে আদালতে হাজিরা দিয়ে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ৷ জানাতে হবে, কীভাবে কাজ করছে পর্ষদ ৷

2014 সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী 2015 সালে প্রাইমারি TET-এর পরীক্ষা হয়েছিল ৷ সেই পরীক্ষায় কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর ভুল ছিল বলে মামলা দায়ের হয় ৷ এরপর গত বছরের 3 অক্টোবর বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় রায় দেন, 6টি প্রশ্নের উত্তর ভুল ছিল ৷ যে প্রার্থীরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, তাঁদের পুরো নম্বর দিতে হবে ও যোগ্য বিবেচিত হলে নিয়ম মেনে তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ করতে হবে ৷ পরে সেই রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্যের তরফে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আর্জি জানানো হয় ৷ পরে সুপ্রিম কোর্ট ঘুরে মামলাটি ফের হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আসে ৷ হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের উপর কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি ডিভিশন বেঞ্চ ৷ খারিজ করে দেওয়া হয় রাজ্যের আর্জি ৷ এরপর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় টালবাহানার অভিযোগ তুলে ফের হাইকোর্টে যান চাকরিপ্রার্থীরা ৷ প্রাথমিক পর্ষদ হাইকোর্টের রায় মানছে না বলে দাবি করেন তাঁরা ৷ চলতি বছরের 14 অগাস্ট প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদের সচিবের ভূমিকায় ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় ৷ হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করায় তাঁর বিরুদ্ধে রুল জারি করে আজ (19 সেপ্টেম্বর) হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত ৷

সেইমতো আজ হাইকোর্টে হাজিরা দেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিব ৷ তিনি জানান, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে আবেদনকারী চাকরিপ্রার্থীদের নম্বর দেওয়ার কাজ করছে তারা । এক সপ্তাহের মধ্যে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে । এরপরই বর্ধিত নম্বরের ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে বলে জানান পর্ষদ সচিব ৷ যদিও বিচারপতি নির্দেশ দেন, পুরো প্রক্রিয়াটা একেবারেই করতে হবে ৷ 26 সেপ্টেম্বর তাঁকে ফের হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি ৷ এবিষয়ে মামলাকারীদের আইনজীবী আলি আহসান আলমগী বলেন,"ওই প্রার্থীরা প্রত্যেকেই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত । হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, নম্বর বাড়ার পর যদি কেউ যোগ্য বিবেচিত হন তাহলে তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ করতে হবে । কিন্তু, এতদিনেও সেই নির্দেশ মানেনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ । চলতি বছরের 3 জানুয়ারি সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেছে । নির্দেশ অমান্য করার জন্যই সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচির বিরুদ্ধে রুল জারি করে হাইকোর্ট । কয়েকদিন আগে এই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশের জন্য সুপ্রিমকোর্টে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ । কিন্ত, তা খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট ।

কলকাতা, 19 সেপ্টেম্বর : তিন মাসের মধ্যে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ কিন্তু, তারপর এক বছরের বেশি কেটে গেলেও থমকে রয়েছে প্রাথমিক TET-এর নিয়োগ পরীক্ষা ৷ আজ ফের দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় ৷ এছাড়াও 26 সেপ্টেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচিকে আদালতে হাজিরা দিয়ে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ৷ জানাতে হবে, কীভাবে কাজ করছে পর্ষদ ৷

2014 সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী 2015 সালে প্রাইমারি TET-এর পরীক্ষা হয়েছিল ৷ সেই পরীক্ষায় কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর ভুল ছিল বলে মামলা দায়ের হয় ৷ এরপর গত বছরের 3 অক্টোবর বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় রায় দেন, 6টি প্রশ্নের উত্তর ভুল ছিল ৷ যে প্রার্থীরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, তাঁদের পুরো নম্বর দিতে হবে ও যোগ্য বিবেচিত হলে নিয়ম মেনে তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ করতে হবে ৷ পরে সেই রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্যের তরফে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আর্জি জানানো হয় ৷ পরে সুপ্রিম কোর্ট ঘুরে মামলাটি ফের হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আসে ৷ হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের উপর কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি ডিভিশন বেঞ্চ ৷ খারিজ করে দেওয়া হয় রাজ্যের আর্জি ৷ এরপর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় টালবাহানার অভিযোগ তুলে ফের হাইকোর্টে যান চাকরিপ্রার্থীরা ৷ প্রাথমিক পর্ষদ হাইকোর্টের রায় মানছে না বলে দাবি করেন তাঁরা ৷ চলতি বছরের 14 অগাস্ট প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদের সচিবের ভূমিকায় ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় ৷ হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করায় তাঁর বিরুদ্ধে রুল জারি করে আজ (19 সেপ্টেম্বর) হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত ৷

সেইমতো আজ হাইকোর্টে হাজিরা দেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিব ৷ তিনি জানান, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে আবেদনকারী চাকরিপ্রার্থীদের নম্বর দেওয়ার কাজ করছে তারা । এক সপ্তাহের মধ্যে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে । এরপরই বর্ধিত নম্বরের ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে বলে জানান পর্ষদ সচিব ৷ যদিও বিচারপতি নির্দেশ দেন, পুরো প্রক্রিয়াটা একেবারেই করতে হবে ৷ 26 সেপ্টেম্বর তাঁকে ফের হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি ৷ এবিষয়ে মামলাকারীদের আইনজীবী আলি আহসান আলমগী বলেন,"ওই প্রার্থীরা প্রত্যেকেই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত । হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, নম্বর বাড়ার পর যদি কেউ যোগ্য বিবেচিত হন তাহলে তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ করতে হবে । কিন্তু, এতদিনেও সেই নির্দেশ মানেনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ । চলতি বছরের 3 জানুয়ারি সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেছে । নির্দেশ অমান্য করার জন্যই সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচির বিরুদ্ধে রুল জারি করে হাইকোর্ট । কয়েকদিন আগে এই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশের জন্য সুপ্রিমকোর্টে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ । কিন্ত, তা খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট ।

Intro:প্রশ্ন ভুল মামলায় নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ হাইকোর্টের Body:
মানস নস্কর---

প্রশ্ন ভুল মামলায় নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ হাইকোর্টের

কলকাতা ১৯ সেপ্টেম্বর ঃ
প্রাইমারি টেটে ৬টি প্রশ্নের উত্তর ভুল সংক্রান্ত মামলায় আবারও দ্রুত নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের।আজ হাইকোর্টে এসে প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচি জানান,হাইকোর্টের নির্দেশ মতো প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদ আবেদনকারী চাকরি প্রার্থীদের নম্বর দেওয়ার কাজ করছে।আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সেই কাজ তারা সম্পন্ন করতে পারবে।এরপরে বর্ধিত নম্বরের ভিত্তিতে তারা নিয়োগ দেবে।কিন্ত বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় এতে একটু ক্ষুব্ধ হন।এবং জানান সমস্তটাই একেবারে করতে হবে। আগামী বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত বিষয়ে প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদের সচিবকে আবার হাজির হতে নির্দেশ দেন তিনি।ঐদিন একটি হলফনাম দিয়ে জানাতে হবে প্রাইমারী শিক্ষা পর্ষদকে প্রার্থীদের নিয়োগের ব্যাপারে তারা কি ভাবে কি করছে।

এর আগে গত ১৪ অগাস্ট হাইকোর্ট
3 অক্টোবর 2018 নির্দেশ এখনো কার্যকর করা হয়নি কেন বলে জানতে চায় প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদের সচিবের কাছে।
৬টি প্রশ্ন ভুল মামলায় নির্দেশ অমান্য করলো কেন প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদ,
প্রাথমিক শিক্ষা সচিবের ভূমিকায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়
নির্দেশ অমান্য করায় প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদের সচিবের বিরুদ্ধে রুল জারি করেন।
স্বশরীরে প্রাথমিক শিক্ষা সচিব কে
তিনি আজ হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।ঐদিন প্রতিভা মন্ডল সহ একাধিক প্রার্থী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদ হাইকোর্টের নির্দেশ মানছে না এই দাবিতে।তাতেই বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় ঐ নির্দেশ দেন।

এ ব্যাপারে মামলাকারীদের তরফের আইনজীবী আলি আহসান আলমগী জানালেন," এই প্রার্থীরা প্রত্যেকেই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল নম্বর বাড়ার পর যদি কেউ যোগ্য বিবেচিত হয় তাহলে তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ দিতে হবে। কিন্ত প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদ সেই নির্দেশ এতো দিনে মানে নি।জানুয়ারি মাসের ৩ তারিখেই তিন মাসের সময়সীমা পেরিয়ে গেছে। নির্দেশ অমান্য করার জন্যই সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচির বিরুদ্ধে রুল জারি করে হাইকোর্ট। তারপর কিছুদিন আগে প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদ এই নির্দেশের উপর যাতে একটা স্থগিতাদেশ পাওয়া যায় সেই তাগিদে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্ত সুপ্রিমকোর্টও সেটা খারিজ করে দেয়। "

মুল বিষয়টি ছিল, ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দেন ২০১৪ র বিজ্ঞপ্তি অনুয়ায়ী ২০১৫ সালে যে টেট পরীক্ষা হয়েছিল তাতে ৬ টি প্রশ্নের উত্তর ভুল রয়েছে। তার জন্য যে সমস্ত প্রার্থী উত্তর দেওয়া চেষ্টা করেছেন তাদের প্রত্যেককে নম্বর দিতে হবে। এবং যোগ্য বিবেচিত হলে সমস্ত নিয়োম মেনে নিয়োগ দিতে হবে এদের তিন মাসের মধ্যে ।কয়েকশো চাকরিপ্রার্থী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এরপর মামলা গড়ায় ডিভিশন বেঞ্চে, সেখান থেকে সুপ্রিমকোর্ট। আবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ফেরত আসে মামলাটি নিস্পত্তির জন্য। ১৩ অগাস্ট হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানায় সিংগল বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছিল সেটার উপর কোনো স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে না।খারিজ হয়ে যায় রাজ্যের আর্জি।এরপর ১৪ অগাস্ট একাধিক প্রার্থী সিংগল বেঞ্চে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানান প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদ বিচারপতির নির্দেশ মানছে না বলে।তাতেই তিনি প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদের সচিবের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছিলেন। Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.