ETV Bharat / state

শিলদায় মাওবাদী হামলার বিচার এক বছরের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ হাইকোর্টের

4 জানুয়ারি বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চে জামিনের আবেদনের শুনানি হয় । ডিভিশন বেঞ্চ CID-র কাছে রিপোর্ট তলব করে ৷ ওই মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী ধরনের অভিযোগ রয়েছে, বিচার প্রক্রিয়া কোন পর্যায়ে রয়েছে, বিচারের জন্য সাক্ষী পাওয়া গিয়েছে কি না, তা জানতে রিপোর্ট তলব করা হয় ৷ মঙ্গলবার হাইকোর্টে সেই রিপোর্ট জমা দেয় CID ।

Shildah camp attack
শিলদা মাওবাদী হামলার বিচার প্রক্রিয়া এক বছরের মধ্যে শেষ করা নির্দেশ হাইকোর্টের
author img

By

Published : Jan 28, 2020, 7:50 PM IST

কলকাতা, 28 জানুয়ারি: শিলদায় CRPF ক্যাম্পে মাওবাদী হামলার ঘটনায় নিম্ন আদালতে যে মামলা চলছে, তা এক বছরের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট । হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ আজ এই নির্দেশ দিয়েছে ৷ 2010 সালের ফেব্রুয়ারিতে শিলদা ক্যাম্পে মাওবাদী হামলায় 24 জন জওয়ান শহিদ হন ৷ সেই ঘটনায় 26 জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ ৷ তাঁদের মধ্যে অন্যতম অর্ণব দাম ছয় বছর জেলে থাকার পর কয়েক মাস আগে জামিন পান কলকাতা হাইকোর্ট থেকে ৷ তারপর কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানান ওই মামলায় অভিযুক্ত ইন্দ্রজিৎ কর্মকার ,তারা হেমব্রম ও সনাতন সরেন । তাঁদের দাবি, একই মামলায় অর্ণব দাম জামিন পেলে তাঁদেরও জামিন দিতে হবে ৷

14 জানুয়ারি বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চে জামিনের আবেদনের শুনানি হয় । ডিভিশন বেঞ্চ CID-র কাছে রিপোর্ট তলব করে ৷ ওই মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী ধরনের অভিযোগ রয়েছে, বিচার প্রক্রিয়া কোন পর্যায়ে রয়েছে, বিচারের জন্য সাক্ষী পাওয়া গিয়েছে কি না, তা জানতে রিপোর্ট তলব করা হয় ৷ মঙ্গলবার হাইকোর্টে সেই রিপোর্ট জমা দেয় CID ।

রিপোর্ট অনুসারে ইন্দ্রজিৎ কর্মকারের বিরুদ্ধে সাক্ষী না পাওয়া গেলেও তারা হেমব্রম ও সনাতন সোরেনকে সাক্ষীরা আদালতে চিহ্নিত করেছে ৷ রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পর ডিভিশন বেঞ্চ ইন্দ্রজিৎ কর্মকারের জামিন মঞ্জুর করে । পাশাপাশি নিম্ন আদালতকে এক বছরের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দেয় ৷ বিচার প্রক্রিয়ার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য রাজ্য পুলিশের DG-কে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট ৷

কলকাতা, 28 জানুয়ারি: শিলদায় CRPF ক্যাম্পে মাওবাদী হামলার ঘটনায় নিম্ন আদালতে যে মামলা চলছে, তা এক বছরের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট । হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ আজ এই নির্দেশ দিয়েছে ৷ 2010 সালের ফেব্রুয়ারিতে শিলদা ক্যাম্পে মাওবাদী হামলায় 24 জন জওয়ান শহিদ হন ৷ সেই ঘটনায় 26 জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ ৷ তাঁদের মধ্যে অন্যতম অর্ণব দাম ছয় বছর জেলে থাকার পর কয়েক মাস আগে জামিন পান কলকাতা হাইকোর্ট থেকে ৷ তারপর কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানান ওই মামলায় অভিযুক্ত ইন্দ্রজিৎ কর্মকার ,তারা হেমব্রম ও সনাতন সরেন । তাঁদের দাবি, একই মামলায় অর্ণব দাম জামিন পেলে তাঁদেরও জামিন দিতে হবে ৷

14 জানুয়ারি বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চে জামিনের আবেদনের শুনানি হয় । ডিভিশন বেঞ্চ CID-র কাছে রিপোর্ট তলব করে ৷ ওই মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী ধরনের অভিযোগ রয়েছে, বিচার প্রক্রিয়া কোন পর্যায়ে রয়েছে, বিচারের জন্য সাক্ষী পাওয়া গিয়েছে কি না, তা জানতে রিপোর্ট তলব করা হয় ৷ মঙ্গলবার হাইকোর্টে সেই রিপোর্ট জমা দেয় CID ।

রিপোর্ট অনুসারে ইন্দ্রজিৎ কর্মকারের বিরুদ্ধে সাক্ষী না পাওয়া গেলেও তারা হেমব্রম ও সনাতন সোরেনকে সাক্ষীরা আদালতে চিহ্নিত করেছে ৷ রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পর ডিভিশন বেঞ্চ ইন্দ্রজিৎ কর্মকারের জামিন মঞ্জুর করে । পাশাপাশি নিম্ন আদালতকে এক বছরের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দেয় ৷ বিচার প্রক্রিয়ার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য রাজ্য পুলিশের DG-কে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট ৷

Intro:শিলদা ক্যাম্প হামলায় 24 জন জবান হত্যার ঘটনায় নিম্ন আদালতকে এক বছরের মধ্যে চূড়ান্ত বিচার শেষ করার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

কলকাতা 28 জানুয়ারি:
শিলদা ক্যাম্প হামলায় 24 জন জওয়ান হত্যার ঘটনায় নিম্ন আদালতকে আগামী এক বছরের মধ্যে চূড়ান্ত বিচার শেষ করার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচিও শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ এ নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তিনি যেন এই প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ সহায়তা করেন।


Body:2010 সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শিলদা ক্যাম্পে হামলা চালায় মাওবাদীরা। সেই ঘটনায় 24 জন জওয়ান নিহত হন। পুলিশ মোট 26 জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। এদের মধ্যে অর্ণব দাম নামে একজন বছর 6 জেল খাটার পর গত বছরের শেষ দিকে হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে গেছেন। এরপরই চলতি মাসের কয়েকদিন আগে কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানান ইন্দ্রজিৎ কর্মকার ,তারা হেমব্রম ও সনাতন সরেন নামে 3 অভিযুক্ত। তাদের দাবি অর্ণব দামের মতই তারাও সমান দোষে জেল খাটছেন ।তাহলে অর্ণব দাম যদি জামিন পেতে পারেন। তারা কেন পাবেন না?
গত 14 ই জানুয়ারি বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানির পর ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের সিআইডির কাছে একটা রিপোর্ট তলব করেন। মূলত এদের বিরুদ্ধে কী ধরনের অভিযোগ রয়েছে বিচার প্রক্রিয়া কোন পর্যায়ে রয়েছে ও বিচারের সাক্ষী পাওয়া গেছে কিনা জানতে চেয়ে। আজ সৈরভ রিপোর্ট জমা পড়েছে হাইকোর্টে। রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে তারা হেমব্রম ও সনাতন সোরেন কে সাক্ষীরা চিহ্নিত করেছে কিন্তু ইন্দ্রজিৎ কর্মকারের বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষী পাওয়া যায়নি। যদিও মামলার শুনানিতে এদের তরফে আইনজীবী কৌশিক গুপ্ত বলেন," অর্ণব নামের মতই আমরাও সমান দোষী ছিলাম। তবে অর্ণব দামের যদি জামিন হয় তাহলে আমাদের কেন হবেনা?" ডিভিশন বেঞ্চ সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখার পর ইন্দ্রজিৎ কর্মকারের জামিন মঞ্জুর করে। বাকি দুজনের জামিন মঞ্জুর করা হয়নি। পাশাপাশি ডিভিশন বেঞ্চ তাদের নির্দেশে জানিয়েছেন রাজ্য পুলিশের director-general যেন এই বিচার প্রক্রিয়ায় সহায়তা করেন। নিম্ন আদালতকে এক বছরের মধ্যে সমস্ত বিচার প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।


Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.