ETV Bharat / state

Calcutta High Court: আপাতত পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন, নির্দেশ হাইকোর্টের

পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections 2023) সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ৷ সেই মামলাতেই বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ আপাতত পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন ৷ আগামী এই মামলার 9 জানুয়ারি পরবর্তী শুনানি ।

Calcutta High Court bars Bengal Election Commission from issuing panchayat poll notification for now
Calcutta High Court: আপাতত পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন, নির্দেশ হাইকোর্টের
author img

By

Published : Dec 15, 2022, 5:22 PM IST

Updated : Dec 15, 2022, 6:19 PM IST

কলকাতা, 15 ডিসেম্বর: আপাতত পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections 2023) নিয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন (Bengal Election Commission) । পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দায়ের করা মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ । আগামী 9 জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি । ওই দিন পর্যন্ত আপাতত এই নির্দেশ বলবৎ থাকবে । আদালতের পর্যবেক্ষণ, গত 29 জুলাই তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের গণনার যে বিজ্ঞপ্তি রাজ্য নির্বাচন কমিশন দিয়েছে, তা ত্রুটি যুক্ত ।

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংরক্ষণের তালিকা খতিয়ে দেখা হোক । তারপরেই ভোটের দিন ঘোষণা হোক । আর্জি জানিয়ে মামলা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । না হলে রাজ্য কারচুপি করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিরোধী দলনেতা ।

তাঁর আইনজীবী আদালতে জানান, 29 জুলাই রাজ্য সরকার যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, তাতে বলা হয়েছে প্রতিটি গ্রামের প্রতিটি বাড়ির দরজায় দরজায় গিয়ে সমীক্ষা করা হবে । সেই সমীক্ষার মাধ্যমে কতজন পিছিয়ে পড়া পরিবার রয়েছে, সেই বিষয়টি নির্ধারিত হবে এবং ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে । তার ওপর ভিত্তি করে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর প্রার্থীর মনোনয়নের বিষয়টি নির্ধারিত করবে নির্বাচন কমিশন । রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের কোনও যৌক্তিকতা নেই । এতে দুর্নীতির সম্ভাবনা থাকবে ।

যদিও রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী পালটা যুক্তি দেন ৷ কিন্তু নির্বাচন কমিশনের তরফে আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র বলেন, ‘‘আমরা যদি সার্ভে না করি তাহলে পিছিয়ে পড়াদের প্রকৃত সংখ্যা জানব কী করে ! কমিশন আইন অনুযায়ী কাজ করছে । জুলাই মাসে প্রথম বিজ্ঞপ্তি জারি হয় । সেই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে ডিসেম্বরে মামলা । খুব আশ্চর্যের বিষয় । বিষয়টা খুব জটিল । আমি হলফনামা দিতে চাই । আবেদনকারী বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন ৷ কিন্তু তাঁরা আইনকে চ্যালেঞ্জ জানাননি । যে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে, তা পঞ্চায়েত আইন মেনে জারি করা হয়েছে ।’’

রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলও বলেন, ‘‘2011 সালের জনগণনার পর দু’টি সাধারণ নির্বাচন হয়েছে । পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী ওবিসি ডেটা আপডেটের প্রয়োজন । পঞ্চায়েত আইন মেনেই তাই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে । এই আবেদনের পেছনে উদ্দেশ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনকে বিলম্বিত করা । গতকাল শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রাখে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ।

আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি, হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা শুভেন্দুর

কলকাতা, 15 ডিসেম্বর: আপাতত পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections 2023) নিয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন (Bengal Election Commission) । পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দায়ের করা মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ । আগামী 9 জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি । ওই দিন পর্যন্ত আপাতত এই নির্দেশ বলবৎ থাকবে । আদালতের পর্যবেক্ষণ, গত 29 জুলাই তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের গণনার যে বিজ্ঞপ্তি রাজ্য নির্বাচন কমিশন দিয়েছে, তা ত্রুটি যুক্ত ।

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংরক্ষণের তালিকা খতিয়ে দেখা হোক । তারপরেই ভোটের দিন ঘোষণা হোক । আর্জি জানিয়ে মামলা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । না হলে রাজ্য কারচুপি করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিরোধী দলনেতা ।

তাঁর আইনজীবী আদালতে জানান, 29 জুলাই রাজ্য সরকার যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, তাতে বলা হয়েছে প্রতিটি গ্রামের প্রতিটি বাড়ির দরজায় দরজায় গিয়ে সমীক্ষা করা হবে । সেই সমীক্ষার মাধ্যমে কতজন পিছিয়ে পড়া পরিবার রয়েছে, সেই বিষয়টি নির্ধারিত হবে এবং ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে । তার ওপর ভিত্তি করে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর প্রার্থীর মনোনয়নের বিষয়টি নির্ধারিত করবে নির্বাচন কমিশন । রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের কোনও যৌক্তিকতা নেই । এতে দুর্নীতির সম্ভাবনা থাকবে ।

যদিও রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী পালটা যুক্তি দেন ৷ কিন্তু নির্বাচন কমিশনের তরফে আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র বলেন, ‘‘আমরা যদি সার্ভে না করি তাহলে পিছিয়ে পড়াদের প্রকৃত সংখ্যা জানব কী করে ! কমিশন আইন অনুযায়ী কাজ করছে । জুলাই মাসে প্রথম বিজ্ঞপ্তি জারি হয় । সেই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে ডিসেম্বরে মামলা । খুব আশ্চর্যের বিষয় । বিষয়টা খুব জটিল । আমি হলফনামা দিতে চাই । আবেদনকারী বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন ৷ কিন্তু তাঁরা আইনকে চ্যালেঞ্জ জানাননি । যে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে, তা পঞ্চায়েত আইন মেনে জারি করা হয়েছে ।’’

রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলও বলেন, ‘‘2011 সালের জনগণনার পর দু’টি সাধারণ নির্বাচন হয়েছে । পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী ওবিসি ডেটা আপডেটের প্রয়োজন । পঞ্চায়েত আইন মেনেই তাই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে । এই আবেদনের পেছনে উদ্দেশ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনকে বিলম্বিত করা । গতকাল শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রাখে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ।

আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি, হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা শুভেন্দুর

Last Updated : Dec 15, 2022, 6:19 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.