কলকাতা, 7 ফেব্রুয়ারি : আসন্ন পৌরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের মনোভাব জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court asks State Election Commission to submit report on central force deployment) । বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে এবিষয়ে তাদের বক্তব্য জানাতে হবে । পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ভোটারকে সেখানকার বুথে পোলিং এজেন্ট করতে হবে এই দবিতে হাইকোর্টে আরেকটি মামলা করেছেন মৌসুমী রায় নামে এক আবেদনকারী ৷ রাজ্যের 108টি পৌরসভায় আগামী 27 ফেব্রুয়ারি যে পৌরভোট হওয়ার কথা, তার ফলাফল ঘোষণার দিন এখনও জানায়নি কমিশন ৷ ওই সবকটি পৌরসভার নির্বাচনের ফল ঘোষণা যেন একসঙ্গে হয়, সেই আর্জিও এই আবেদনে করা হয়েছে ৷
এর আগে কলকাতা পৌরনিগমের ভোটেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছিল রাজ্য বিজেপি ৷ কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট শেষ মুহূর্তে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কোর্টে বল ঠেলে দিয়ে, এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকেই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছিল । সোমবার ছবি বসু নামে সল্টলেকের এক মহিলা প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানান, সল্টলেকের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে আগামী 12 ফেব্রুয়ারি বিধাননগর পৌরনিগমের যে ভোট হবে, তা যেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে করা হয় । আবেদনকারীর বক্তব্য, এলাকার পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর, কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি ছাড়া শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় ।
আরও পড়ুন : নয়া নির্ঘণ্ট প্রকাশ নির্বাচন কমিশনের, 12 ফেব্রুয়ারি চার পৌরনিগমের ভোট
প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই বিষয়ে বুধবার সকালে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তাদের বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছে । অন্যদিকে, বুথে পোলিং এজেন্ট বসানো সংক্রান্ত বিষয়ে মামলাকারী মৌসুমী রায়ের আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় এদিন বলেন, "কলকাতা পৌরনিগমের ভোটে শাসকদল কী পরিমাণ সন্ত্রাস চালিয়েছে, কী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তা সবাই দেখেছে । যেহেতু কলকাতা হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে রাজ্যের সমস্ত পৌরভোট হচ্ছে, সেই কারণে আমরা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানিয়েছি সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটারকে পোলিং এজেন্ট হিসেবে বসানোর নির্দেশ দিক আদালত ।" উল্লেখ্য, কলকাতা পৌরনিগমের ভোটে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বাইরে থেকে পোলিং এজেন্ট এনে বসানো, বুথ দখল ও ব্যাপক ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলেছিল প্রায় সব বিরোধী রাজনৈতিক দলই ।