কলকাতা, 22 সেপ্টেম্বর: 'হেরিটেজ' গ্র্যান্ড হোটেলের সামনের ফুটপাত হকারদের দখলে। বেআইনি বিদ্যুৎ সংযোগে সেখানে দেদার চলছে ব্যবসা। কীভাবে ওই ফুটপাথ হকার মুক্ত করা যাবে, তা জানাতে হবে কলকাতা পৌরনিগমকে। কীভাবে তারা (ব্যবসায়ী) বিদ্যুৎ সংযোগ পাচ্ছে, তাও জানাতে হবে সিইএসসিকে। নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
ঐতিহ্যশালী ওই হোটেল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, সামনের ঝুল বারান্দার নীচে কার্যত হকারদের রাজত্ব চলছে । রীতিমতো পাকা কাঠামো বানিয়ে ব্যবসা চলছে। রাস্তার লাইট পোস্ট থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ টেনে আনা হয়েছে। ফলে বাগড়ি মার্কেটের মত যে কোনও দিন এখানে আগুন লাগার মতো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলেও মনে করছে গ্র্যান্ড হোটেল কর্তৃপক্ষ।
পৌরনিগম জানিয়েছে, কোথা থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ তারা নিয়েছে, তা জানা নেই। নিউমার্কেট থানার তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, হোটেলের প্রবেশ ও বাহির পথ ফাঁকা রাখার জন্য তারা নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যায়। এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রশ্ন করেন, "কে তাদের ওখানে ব্যবসা করার অনুমতি দিয়েছে ? কীভাবেই বা তারা সেখানে পাকা কাঠামো বানিয়েছে ?" একই সঙ্গে বিস্ময় প্রকাশ করে বিচারপতি বলেন, "তাদের বেআইনি বিদ্যুৎ সংযোগ সম্পর্কে সিইএসসি কিছুই জানে না !"
এরপরই বিচারপতি অমৃত সিনহা নির্দেশ দিয়ে জানান, আদালতের অনুমতি ছাড়া সেখানে নতুন করে কোনও হকারির লাইসেন্স দেওয়া যাবে না। আগামী 5 অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। তার মধ্যে পৌরনিগম ও সিইএসসিকে যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর হলফনামা আকারে দিতে হবে বলেও নির্দেশ দেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন: কৃষ্ণ জন্মভূমি-শাহী ইদগাহ প্রাঙ্গণ জরিপের আবেদন গ্রহণ করল না সুপ্রিম কোর্ট
উল্লেখ্য, কলকাতার ফুটপাথ দখল করে ব্যাবসা করার বিরুদ্ধে আদালত বিভিন্ন সময় নির্দেশ দিলেও সেই সব নির্দেশ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পালন হয় না বলে অভিযোগ। আর ধর্মতলার গ্র্যান্ড হোটেলের সামনেই শুধু নয়, গোটা ধর্মতলা চত্ত্বর জুড়ে যেভাবে ফুটপাত দখল করে ব্যাবসার রমরমা তাতে পুলিশ-প্রশাসনের পরোক্ষ সমর্থন না থাকলে ব্যবসা করা সম্ভব নয় বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল ৷