কলকাতা, 29 নভেম্বর: পাসপোর্ট যাচাই করাতে হাওড়ার শ্যামপুর থানায় গিয়ে পুলিশের মারধরের শিকার হাইকোর্টের আইনজীবী চিরঞ্জিত পাল। সিসিটিভি ফুটেজ দিতে না-পারায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট।
বুধবার হাইকোর্টের আগের নির্দেশে হাওড়ার জেলাশাসক তাঁর রিপোর্ট জমা দেন হাইকোর্টে। তাতে জানানো হয়, থানার সিসিটিভিতে 5 নভেম্বর, ঘটনার দিনের ফুটেজ ধরা নেই। কারণ 15 দিন পর্যন্ত ছবি ধরে রাখা যায়। জেলাশাসকের রিপোর্ট দেখে উষ্মা বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর। তাঁর বক্তব্য, 5 নভেম্বরের ঘটনা। হঠাৎ পুলিশ কেন 15 দিনের সিসিটিভি ফুটেজ ধরে রাখার মতো হার্ড ডিস্ক ব্যবহার করল। এটাতেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়।
আদালতের কটাক্ষ, কেন তাহলে একদিনের নয়, কেন 15 দিনের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হল ? এটা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরিপন্থী। প্রসঙ্গত, এর আগে সুপ্রিম কোর্ট একাধিক নির্দেশে অন্তত এক বছরের ফুটেজ সংরক্ষণের মতো ব্যবস্থা সিসিটিভিতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। আদালতের নির্দেশ, জেলাশাসকের রিপোর্ট জমা পড়েছে। থানার সিসিটিভির হার্ড ডিস্ক সংরক্ষণ করতে হবে। প্রয়োজনে আগামী শুনানিতে আদালত সিএফএসল পাঠানোর নির্দেশ দেবে। পরবর্তী শুনানি আগামী 7 ডিসেম্বর।
উল্লেখ্য, গত অগাস্ট মাসে রাজ্যের সব থানায় সিসি ক্যামেরা নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন। পুলিশের ডিজিকে সমস্ত থানার সিসি ক্যামেরা যাতে সঠিকভাবে কাজ করে এবং ফুটেজ রেকর্ড করার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা থাকে তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছিল । বারুইপুর সংশোধনাগারে চার বন্দিকে পিটিয়ে মারার অভিযোগে আদালত সিসিটিভি ফুটেজ চেয়েছিল সিআইডির কাছে। কিন্তু তখনও জানানো হয়েছিল থানার সিসিটিভি বিকল। গত বছর বাঁকুড়াতে এক নাবালকের থানায় মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চরম ক্ষুব্ধ হয়েছিল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: