কলকাতা, 14 জুন: শিক্ষাবন্ধুকে ভোটে না লড়ার পরামর্শ দিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ বুধবার এক মামলার শুনানিতে এমনই পরামর্শ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা ৷ তিনি বলেন, ‘‘মাস্টারমশাই নির্বাচনে লড়ে কী করবেন ! শিক্ষকতার মতো মহান চাকরিতে আছেন ? সেটাই করুন ।’’
রাজ্য নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে শিক্ষাবন্ধুরা এবার পঞ্চায়েত ভোটে লড়তে পারবেন না । তার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এক শিক্ষাবন্ধু । সেই মামলার শুনানিতে ওই মামলাকারী শিক্ষাবন্ধুকে উদ্দেশ্য করে এই মন্তব্য করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা ।
মামলাকারীর বক্তব্য, পার্শ্বশিক্ষকরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারলে, কেন শিক্ষাবন্ধুরা পারবেন না ? এই নিয়ে বুধবার দুপুর 3টে 15 মিনিটের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের কৈফিয়ত তলব করেন বিচারপতি । যেহেতু আগামিকাল বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন, তাই আজই উত্তর দিতে হবে বলে জানান বিচারপতি । সাড়ে তিনটে নাগাদ কমিশনের তরফে জবাব দেওয়া হয় ৷
সেখানে কমিশন জানায়, তাদের আপত্তি নেই । শিক্ষাবন্ধুরাও পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশ নিতে পারে । যদিও এই নিয়ে মৌখিক নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানান কমিশনের আইনজীবী । তিনি আরও জানান, আজই কমিশনের তরফে এটা বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে । তার পর যদিও পরে বিচারপতি নির্দেশে জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত ভোটে অংশ নিতে পারবেন শিক্ষাবন্ধুরা ৷
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ৷ সেই ঘোষণা হওয়ার অনেক আগে গত 27 মে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে ৷ সেখানে জানানো হয়, কারা কারা ভোটে লড়তে পারবেন না ।
সেখানেই রেশন ডিলার, হোমগার্ড-সহ অন্যান্য অনেক পেশার কথা উল্লেখ করা হয়, যে পেশায় যুক্তরা ভোটে লড়তে পারবেন না বলে জানানো হয় । সেখানেই শিক্ষাবন্ধুরা ভোটে লড়তে পারবে না বলে জানানো হয় কমিশনের তরফে । কিন্তু 31 মে আবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে কমিশন ৷ সেখানে তাদের তরফে জানানো হয় যে পার্শ্বশিক্ষকরা ভোটে লড়তে পারবেন । আদালতের নির্দেশের ফলে শিক্ষাবন্ধুদের এবার ভোটে লড়ায় কোনও বাধা রইল না ৷
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে পর্যবেক্ষক নিয়োগ, হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য নির্বাচন কমিশন