ETV Bharat / state

KNU Registrar dismissal Case: কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বরখাস্তের নির্দেশে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

author img

By

Published : Mar 22, 2023, 7:00 PM IST

বেআইনিভাবে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে বরখাস্ত করার অভিযোগ (KNU Registrar dismissal Case) ৷ বরখাস্তের নির্দেশের উপর তিন সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) ৷

Kazi Nazrul University registrar
কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বরখাস্ত মামলা

কলকাতা, 22 মার্চ: কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার চন্দন কোনারকে বেআইনিভাবে বরখাস্ত করার অভিযোগে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। তিন সপ্তাহের জন্য সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Calcutta HC stays dismissal of Kazi Nazrul University registrar)। পাশাপাশি রেগুলার বেঞ্চে মামলাটি পাঠালেন শুনানির জন্য তিনি । তাঁকে বেআইনিভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে দাবি করে চন্দন কোনার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ।

এদিন রেজিস্ট্রার চন্দন কোনারের হয়ে আইনজীবী জয়দীপ কর আদালতে বলেন, "আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কমিটিই রেজিস্ট্রারকে মনোনীত করেন । সেই অনুয়ায়ী চন্দনের নাম সুপারিশ করা হয় । কমিটিই তাঁকে নিয়োগ করে । চন্দনকে বলা হয় এক বছরের প্রবেশনারি পিরিয়ড শেষে চাকরি স্থায়ী করা হবে । আইন অনুযায়ী এক্সিকিউটিভ কমিটিই চাকরিতে নিয়োগ, তার চাকরির মেয়াদ ও বরখাস্ত করার ব্যাপারেই শেষ কথা বলে ।"

তিনি জানান, কিন্তু যেভাবে রেজিস্ট্রারকে বরখাস্তের চিঠি দেওয়া হয়েছে ৷ সেটা আইনসঙ্গত নয় । প্রবেশনার হলেও তাঁকে আগে থেকে জানাতে হয় । তাঁকে 30 জানুয়ারি 2023 যোগদানের চিঠি দেওয়া হয় । 1 ফেব্রুয়ারি তিনি যোগ দেন পদে । তাঁকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে 14 মার্চ বরখাস্তের নির্দেশ দেওয়া হয় চন্দনকে বলে দাবি করেন তাঁর আইনজীবী । উপাচার্যের ক্ষমতাই নেই তাকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেওয়ার । অথচ তিনি চন্দনকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন কী করে? সেই প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী ।

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় ও এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের তরফে আইনজীবী অরুনাংশু চক্রবর্তী বলেন, "উপাচার্য বরখাস্ত করতেই পারে ৷ সেই ক্ষমতা তাঁর আছে । আইন অনুযায়ী একজন প্রবেশনারকে বরখাস্ত করা যায় ।" সুপ্রিম কোর্টের একাধিক নির্দেশ দেখান তিনি । একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাধন চক্রবর্তীর হয়ে আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী হলফনামা দিয়ে নিজের বক্তব্য জানানোর আর্জি জানান ।

যদিও বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু সেই আর্জি খারিজ করে দেন । সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি এদিন তিন সপ্তাহে জন্য নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন । পাশাপাশি রেগুলার বেঞ্চে পাঠিয়েছেন মামলাটি শুনানির জন্য । এই মামলা বিচারপতি কৌশিক চন্দর বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা । কিন্তু বিচারপতি পারিবারিক কারণে ছুটিতে থাকার জন্য জরুরি ভিত্তিতে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন আইনজীবীরা ।

উল্লেখ্য, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী জানান, ওই রেজিস্ট্রার সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে টাকার বিনিময়ে নিযুক্ত হয়েছিলেন । সেই কারণেই উপাচার্য তাঁকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন ।

আরও পড়ুন: উপাচার্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, কবিতা দিবসে ক্লাস খোলা আকাশের নীচে

কলকাতা, 22 মার্চ: কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার চন্দন কোনারকে বেআইনিভাবে বরখাস্ত করার অভিযোগে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। তিন সপ্তাহের জন্য সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Calcutta HC stays dismissal of Kazi Nazrul University registrar)। পাশাপাশি রেগুলার বেঞ্চে মামলাটি পাঠালেন শুনানির জন্য তিনি । তাঁকে বেআইনিভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে দাবি করে চন্দন কোনার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ।

এদিন রেজিস্ট্রার চন্দন কোনারের হয়ে আইনজীবী জয়দীপ কর আদালতে বলেন, "আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কমিটিই রেজিস্ট্রারকে মনোনীত করেন । সেই অনুয়ায়ী চন্দনের নাম সুপারিশ করা হয় । কমিটিই তাঁকে নিয়োগ করে । চন্দনকে বলা হয় এক বছরের প্রবেশনারি পিরিয়ড শেষে চাকরি স্থায়ী করা হবে । আইন অনুযায়ী এক্সিকিউটিভ কমিটিই চাকরিতে নিয়োগ, তার চাকরির মেয়াদ ও বরখাস্ত করার ব্যাপারেই শেষ কথা বলে ।"

তিনি জানান, কিন্তু যেভাবে রেজিস্ট্রারকে বরখাস্তের চিঠি দেওয়া হয়েছে ৷ সেটা আইনসঙ্গত নয় । প্রবেশনার হলেও তাঁকে আগে থেকে জানাতে হয় । তাঁকে 30 জানুয়ারি 2023 যোগদানের চিঠি দেওয়া হয় । 1 ফেব্রুয়ারি তিনি যোগ দেন পদে । তাঁকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে 14 মার্চ বরখাস্তের নির্দেশ দেওয়া হয় চন্দনকে বলে দাবি করেন তাঁর আইনজীবী । উপাচার্যের ক্ষমতাই নেই তাকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেওয়ার । অথচ তিনি চন্দনকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন কী করে? সেই প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী ।

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় ও এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের তরফে আইনজীবী অরুনাংশু চক্রবর্তী বলেন, "উপাচার্য বরখাস্ত করতেই পারে ৷ সেই ক্ষমতা তাঁর আছে । আইন অনুযায়ী একজন প্রবেশনারকে বরখাস্ত করা যায় ।" সুপ্রিম কোর্টের একাধিক নির্দেশ দেখান তিনি । একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাধন চক্রবর্তীর হয়ে আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী হলফনামা দিয়ে নিজের বক্তব্য জানানোর আর্জি জানান ।

যদিও বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু সেই আর্জি খারিজ করে দেন । সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি এদিন তিন সপ্তাহে জন্য নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন । পাশাপাশি রেগুলার বেঞ্চে পাঠিয়েছেন মামলাটি শুনানির জন্য । এই মামলা বিচারপতি কৌশিক চন্দর বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা । কিন্তু বিচারপতি পারিবারিক কারণে ছুটিতে থাকার জন্য জরুরি ভিত্তিতে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন আইনজীবীরা ।

উল্লেখ্য, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী জানান, ওই রেজিস্ট্রার সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে টাকার বিনিময়ে নিযুক্ত হয়েছিলেন । সেই কারণেই উপাচার্য তাঁকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন ।

আরও পড়ুন: উপাচার্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, কবিতা দিবসে ক্লাস খোলা আকাশের নীচে

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.