কলকাতা, 5 ডিসেম্বর: বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইসেন্স পুনর্নবীকরণের (BEd University registration corruption case) নামে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ৷ এই সংক্রান্ত মামলায় একাধিক গলদ রয়েছে । মামলাকারীকে তাই মামলার কপি সংশোধন করে পুনরায় মামলা করার নির্দেশ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের।
এদিন মামলাকারীর তরফে আইনজীবী অনুপ ধর বলেন, "শিক্ষক হতে গেলে বিএড ডিগ্রি লাগে । অন্যান্য ক্ষেত্রে চাকরির ঘাড়তি থাকায় শিক্ষিত ছেলে মেয়েরা এদিকে ঝোঁকে । ফলে বিএড কলেজের ব্যবসা অত্যন্ত লাভজনক । আর সেই জায়গা থেকেই এই দুর্নীতি হয়েছে । প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর সমর্থনে বিএড কলেজ অনুমোদনের নামে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে । সজল সরকার নামে এক ব্যক্তিকে সাউথ সিটি কমপ্লেক্সে 2 লক্ষ টাকা নগদ দিয়ে আসতে বলা হত কলেজের পুনর্নবীকরণের জন্য । সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় যিনি বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর 'ঘনিষ্ঠ', তিনিই প্রত্যক্ষভাবে জড়িত এই ঘটনায় । এনসিটিইকে রিপোর্ট দিতে বলা হোক।"
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, "600 টির বেশি বিএড কলেজ রয়েছে রাজ্যে । কাউকে পার্টি করা হয়নি । পুলিশে কোনও একটি অভিযোগ দায়ের হয়নি । দু'টো চিঠি লেখা হয়েছে ইডি ও সিবিআইকে । পুলিশে কোনও অভিযোগ নেই ৷ পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি তেমন অভিযোগও নেই । অত্যন্ত দুর্বল মামলা । ভালো করে তথ্য খতিয়ে না-দেখেই অভিযোগ আনা হয়েছে । বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের নামটি পর্যন্ত ভুল বলা হয়েছে । জনস্বার্থের নামে যা খুশি অভিযোগ আনা হচ্ছে ।"
অন্যদিকে সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে আইনজীবী জয়দীপ কর বলেন, "একটি টিভি চ্যানেলের বানানো খবর । এর কোনও ভিত্তি নেই । এই ধরনের মামলাকে একেবারেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত নয় । পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট টিভি চ্যানেলকেও মামলায় যুক্ত করা হোক ।" প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর নির্দেশে দেন, 9 জানুয়ারি ফের মামলাটি নতুন করে শুনানি করা হবে । তার আগে মামলাকারীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম-সহ অন্যান্য ভুল সংশোধন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
আরও পড়ুন: এসএসসি নিয়োগে 21 হাজার পদে দুর্নীতি, আদালতে জানাল সিবিআই
উল্লেখ্য, বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইসেন্স রিনিউ করার নামে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) 'ঘনিষ্ঠ' কিছু লোকজন বলে দাবি করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে । মামলায় ইডি ও সিবিআই তদন্তের আর্জিও জানানো হয় ।